যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিবৃতি নিয়ে বাংলাদেশের মাথাব্যথা নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

|

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিবৃতি নিয়ে বাংলাদেশের মাথাব্যথা নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে নির্বাচন পরবর্তী কূটনীতিকদের ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছে, এতেই খুশি সরকার। নতুন বছরে নতুন সহযোগিতা ও নতুন অংশীদারিত্ব নিয়ে প্রত্যেক দেশের সাথে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ।

এই আয়োজনে অংশ নেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, যুক্তরাজ্যের সারাহ কুক, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনসহ ঢাকায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।

নির্বাচন নিয়ে আপাতত কোনো মন্তব্য না করলেও শিগগিরই বিবৃতির মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে বলে জানান ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে এখনই মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। ইইউর পক্ষ থেকে ১ সপ্তাহের মধ্যে বিবৃতি দেয়া হবে। আমরা একা নই, ২৭টি দেশের সঙ্গে আমাদের জোট।

জার্মান রাষ্ট্রদূত আখইম ট্রোস্টার বলেন, এ দেশের জনগণকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা। তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষায় আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আগামীতেও এই সম্পর্ককে কীভাবে আরও এগিয়ে নেয়া যায় সে লক্ষ্যে কাজ করছি।

চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, গণতান্ত্রিক সরকার নির্বাচিত হয়েছে। সরকারের সঙ্গে চীনের অংশিদারিত্ব ও সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

এদিকে, এর আগে আজ সকালে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য বিবৃতি বলে, বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও বিরোধী দলের ওপর হয়রানির নিন্দাও জানায় তারা।

এছাড়া সদ্য নির্বাচিত সরকারকে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও মানবাধিকার ফিরিয়ে আনার তাগিদ জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply