নতুন বছরে সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা রাশিয়ার

|

রাশিয়ান আরএস-২৪ ইয়ারস আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। ছবি: গেটি ইমেজ।

পারমাণবিক ইউনিটকে যুদ্ধের জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুত রাখা এ বছরের অন্যতম এজেন্ডা রাশিয়ার। এছাড়া ২০২৪ সালে সমরভাণ্ডার ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা রয়েছে দেশটির। রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, বৃদ্ধি করা হবে ড্রোন উৎপাদন। এছাড়া, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন অস্ত্র তৈরিতেও বাড়তি নজর দেয়া হবে। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্তাদের সাথে বৈঠকে এসব পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। এক প্রতিবেদনে তুরস্কের সংবাদ মাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি এ খবর জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিমাদের তোয়াক্কা না করেই প্রায় দুই বছর ধরে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। বর্তমানে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকলেও, যুক্তরাষ্ট্রসহ মিত্রদের ব্যাপক সামরিক সহায়তা পাওয়া ইউক্রেনকে মোকাবেলায় মস্কোর ক্ষয়ক্ষতিও কম হয়নি।

এদিকে, ফিনল্যান্ডকে সদস্যপদ দিয়ে রাশিয়ার সীমান্তবর্তী আরও একটি দেশে নিজেদের অবাধ বিচরণ নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো। এমন পরিস্থিতিতে নতুন বছর নিজেদের সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোকে লক্ষ্য হিসেবে নিয়েছে রাশিয়া।

বছরের প্রথম বৈঠকে কর্মকর্তাদের কাছে নতুন বছরের পরিকল্পনা তুলে ধরেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই সোইগু। জানান, ২০২৪ সালে ব্যাপক হারে বাড়ানো হবে ড্রোন উৎপাদন। বাড়তি নজর দেয়া হবে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও নজরদারি প্রযুক্তির উন্নয়নেও। এছাড়া, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন সমরাস্ত্র তৈরিতেও দেয়া হবে অগ্রাধিকার।

এদিকে, গত বছর পশ্চিমাদের সাথে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে হওয়া একাধিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে এসেছে রাশিয়া। যার ফলে বেড়েছে ভয়ঙ্কর এই অস্ত্র ব্যবহারের ঝুঁকি। এমন পরিস্থিতিতে, পারমাণবিক অস্ত্র চালানোয় পারদর্শী বিশেষ বাহিনীকে যুদ্ধের জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুত রাখাকে অন্যতম অগ্রাধিকার হিসেবে নিয়েছে মস্কো।

২০২৩ সালে, রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেন তাদের সামরিক বাহিনীর ২ লাখ ১৫ হাজার সদস্য হারিয়েছে বলেও দাবি রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর। এসময় ধ্বংস হয়েছে কিয়েভের অন্তত ২৮ হাজার সমরাস্ত্র।

\এআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply