সংসদে বিরোধী দলের আসনে কারা বসছে, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি। একক কোনো দল পর্যাপ্ত আসন না পাওয়ায়, আর দলের তুলনায় স্বতন্ত্রদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে অস্পষ্টতা তৈরি হয়েছে। এমনকি এই বিরোধী দলের কাঠামো বা কার্যক্রম কেমন হবে তা নিয়েও পরিষ্কার ধারণা নেই সংসদ সদস্যদের। তাই সরকারের পাশাপাশি বিরোধী দল কারা হবেন সেটাও ঠিক করতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে। তবে জাতীয় পার্টি নেতারা বলছেন, সংসদ সদস্য হিসেবে নিজের অবস্থান থেকেই দায়িত্ব পালন করতে চান তারা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবারও সংসদে সবচেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ আওয়ামী লীগ। দলটির নবনির্বাচিত ২২২ জন এমপির বিপরীতে বিরোধী দলগুলোতে আছেন ৭৬ জন এমপি। এর মধ্যে স্বতন্ত্র ৬২ জন। এদের প্রায় সবাই আবার আওয়ামী লীগের। জাতীয় পার্টির আছেন ১১ জন। একজন করে জাসদ, ওয়াকার্স পার্টি এবং কল্যান পার্টির। একতরফা সংখ্যা গরিষ্ঠের এই সংসদে আওয়ামী লীগ সরকারি দলের পাশাপাশি আছে বিরোধী দলেও। তারপরও আনুষ্ঠানিক বিরোধী কারা হচ্ছে তা নিয়ে সবার কৌতুহল।
এ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্বাদশ সংসদের পদ বন্টন এরই মধ্যে হয়ে গেছে। এখন প্রধান বিরোধী দল কারা হবে সেটা স্পিকার ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেবেন।
গতকাল বুধবার শপথ নিয়েছেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সবার শেষে শপথ নেন জাতীয় পার্টির ১১ জন এমপি। তাদের কাছেও অস্পষ্টতা রয়েছে বিরোধী দল হওয়া নিয়ে। সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে চান বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।
অন্যদিকে, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, এই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। এটি ছিল সরকার নিয়ন্ত্রিত একটি নির্বাচন।
মূলত, গত দুই সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির আসন অপর্যাপ্ত হওয়ায় এবার সহজে বলা যাচ্ছে না কারা হতে যাচ্ছে প্রধান বিরোধী দল।
এসজেড/
Leave a reply