নূরনবী সরকার:
নতুন মন্ত্রিসভা আগের ধারাবাহিকতার সম্প্রসারণ, এ কথা বলছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ আর বহির্বিশ্বের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নকে গুরুত্ব দিয়েই সাজানো হয়েছে নতুন মন্ত্রিপরিষদ। তবে, সামগ্রিকভাবে খুব বেশি চমক নেই বলছেন তারা।
গত মন্ত্রিসভার ১৭ জন এবারও দায়িত্ব পেয়েছেন। ১৪ জনকেই রাখা হয়েছে আগের মন্ত্রণালয়ে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধারাবাহিকতা নতুন কোনো চ্যালেঞ্জ যে সরকারের সামনে নেই সেটার বহিঃপ্রকাশ।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মীজানুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগের ইশতেহারে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করার ঘোষণা ছিল। আপাত দৃষ্টিতে স্মার্ট লোকদের নিয়ে এ মন্ত্রিসভা করার চেষ্টা করা হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক জোবাইদা নাসরিন বলেন, বিশেষ করে স্বরাষ্ট্র, আইন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী পরিবর্তন না করার মানে হলো দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে সরকার আগের মতোই কলাকৌশল ও নজরদারি অব্যাহত রাখবেন।
অতি কথনের কারণে বিদায়ী মন্ত্রিসভার পররাষ্ট্র, কৃষি ও বাণিজ্যের দায়িত্ব সামলানোরা এবার বাদ পড়েছেন বলে মনে করছেন কেউ। তারা এর সাথে যোগ করেন, পররাষ্ট্র, বাণিজ্য হয়তো সরকারের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে অধ্যাপক মীজানুর রহমান বলেন, বাদ পড়ার তো অনেক কারণ থাকে। অনেক সময় অদক্ষতা এবং পত্রপত্রিকায় যেসব আসে স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি… এর বাইরে আমাদের জন্য আগামীতে বড় চ্যালেঞ্জ অর্থ ও পররাষ্ট্র।
অধ্যাপক জোবাইদা নাসরিন বলেন, বাণিজ্য ও অর্থে দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী কীভাবে সাজায় তা দেখতে চাই। একদলীয় শাসনের অনুরূপ নিজের মতো করে সাজানোর একটা বিষয় তো থেকে যায়।
আগে কখনোই মন্ত্রী ছিলেন না এমন ১৪ জন এবারের মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন। যাদের ৭ জন মন্ত্রী এবং ৭ জন প্রতিমন্ত্রী। নতুনের আগমন রাজনৈতিক স্বাভাবিকতা আর পুরনোদের পুরস্কৃত করা হয়েছে মনে করছেন সুশানের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার।
তিনি বলেছেন, পুরনো কিছু বাদ পড়েছে, আবার নতুন কিছু যোগ হয়েছে; তাতে কিছু ভালো লোক আছে। আমরা প্রত্যাশা করবো, এরা জনগণের কল্যাণে কাজ করবে।
এদিকে, বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি মোকাবেলার চেয়ে অর্থনীতি স্থিতিশীল করা এবং দুর্নীতির লাগাম টানা গুরুত্বপূর্ণ হবে বলছেন বিশ্লেষকরা।
/এমএন
Leave a reply