রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় একটি বস্তিতে আগুনের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়েছে। এ পর্যন্ত ২ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। আগুনে বস্তির তিনশোরও বেশি ঘর পুড়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন।
শুক্রবার দিবাগত রাত (১৩ জানুয়ারি) সোয়া দুইটায় ফায়ার সার্ভিসের কাছে এ অগ্নিকাণ্ডের খবর আসে। আগুনে দগ্ধ অনেককেই শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নেয়া হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিটের দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। শর্ট সার্কিট বা গ্যাসের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিস আরও জানায়, রাত সোয়া দুইটার দিকে তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) পাশে মোল্লাবাড়ি বস্তিতে আগুন লাগার খবর পান তারা। কাঠ ও টিনের বস্তির ঘিঞ্জি ঘর হওয়ার ফলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন।
ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। একে একে ঘটনাস্থলে আসে ফায়ারের ১৫টি ইউনিট। প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় রাত পৌনে চারটার দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। উদ্ধার করা হয় একজনের মরদেহ।
এদিকে মাত্র দুই ঘণ্টার আগুন নিঃস্ব করে দিয়েছে খেটে খাওয়া বস্তিবাসীদের। পোড়া ঘরগুলোর দিকে তাকিয়ে তাদের আহাজারী আর দীর্ঘশ্বাসে কেঁপে উঠেছিল রাতের আকাশ।
বস্তিতে কমপক্ষে ৩০০ এর মতো ঘর ছিল জানিয়ে বস্তির বাসিন্দাদের দাবি, আগুনে বস্তির প্রায় সব ঘরই পুড়ে গেছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও দাবি করেছেন বস্তির বাসিন্দারা।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি যমুনা টেলিভিশনকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনার সূত্রপাত। ঘরগুলো কাঠ ও বাঁশের তৈরি হওয়াতে মুহূর্তের মধ্যেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা।
/এমএইচ
Leave a reply