নয়া বছর, নয়া খবর। যে খবর যমুনা টেলিভিশনের এগিয়ে যাওয়ার। বছরের শুরু থেকেই আসছে এমন সংবাদ। চব্বিশের প্রথম মাসের অর্ধেক না পেরুতেই জানা গেলো, বিশ্বে সংবাদভিত্তিক ইউটিউব চ্যানেলের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের যমুনা টেলিভিশন।
মার্কিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম জরিপ সংস্থা সোশ্যাল ব্লেড প্রতি সপ্তাহে ইউটিউব চ্যানেলের দর্শকপ্রিয়তার পাশাপাশি কনটেন্টের মান বিবেচনা করে এই র্যাঙ্কিং প্রকাশ করে। তাতে যমুনা টেলিভিশনের অবস্থান এখন দুইয়ে।
চব্বিশের ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টাতেই যমুনা টেলিভিশনের দর্শক ও শুভানুধ্যায়ীদের জন্য আসতে থাকে এমন সংবাদ। বছরের দ্বিতীয় দিনে জানা যায়, সোশ্যাল ব্লেডের র্যাঙ্কিংয়ে ছয়ে উঠে এসেছে যমুনা। আর বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের দিন আরও দুই ধাপ এগোয় দেশের সংবাদভিত্তিক এ টেলিভিশন চ্যানেল। আর আজ শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে আবারও এলো সুখবর। বাংলাদেশের যমুনা টেলিভিশনের ইউটিউব চ্যানেলের অবস্থান এখন দুইয়ে। মানে বিশ্বের সংবাদভিত্তিক ইউটিউব চ্যানেলের শীর্ষস্থানে পৌঁছাতে কেবল একটা ধাপ বাকি!
কেবল নতুন বছরে নয়, গত হওয়া বছরগুলোতেও এই র্যাঙ্কিংয়ে নিজেদের অবস্থান জানান দিয়েছিল যমুনা। বাংলাদেশি কোনো ইউটিউব চ্যানেল হিসেবে যমুনা রাঙিয়েছিল তিন, চার ও পাঁচের মতো স্থান।
এবারের এই অগ্রযাত্রায় বিশ্বের অনেক পরিচিত গণমাধ্যমকে পেছনে ফেলেছে যমুনা। বিবিসি, আল জাজিরা, সিএনএন, ফক্স নিউজ, এনবিসি, ফোর্বস ব্রেকিং নিউজ ও এবিসির মতো চ্যানেলগুলোর অবস্থান যমুনার পরে। এই র্যাঙ্কিংয়ের সেরা দশ ইউটিউব চ্যানেলের তালিকায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে শুধু যমুনা টেলিভিশনই।
এমন অর্জনের নেপথ্যের কারণ টিম যমুনার সকল বিভাগের আন্তরিক প্রচেষ্টা বলে উল্লেখ করেন নিউ মিডিয়া এডিটর রুবেল মাহমুদ। তিনি বলেন, আমরা অন্যান্য অনেক চ্যানেলের মতো স্রোতে গা না ভাসিয়ে নিউজের গুরুত্ব বুঝে কনটেন্ট দেয়ার চেষ্টা করি। দর্শককে বিভ্রান্ত করে ভিউ নেয়ার পরিবর্তে বরং বিভিন্ন বিষয়ে তাদের বিভ্রান্তি কাটানোর চেষ্টা থাকে সবসময়। তারই প্রতিফলন ঘটেছে সোশ্যাল ব্লেডের র্যাঙ্কিংয়ে।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মানুষের বিশ্বাস, ভালোবাসা ও আস্থা নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে যমুনা টেলিভিশন। এরইমধ্যে যমুনার ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার দেড় কোটির মাইলফলক ছাড়িয়ে এগিয়েছে আরও অনেকটা পথ। ‘সোশ্যাল ব্লেডে’ও পড়েছে এর প্রতিফলন। এই তালিকায় যমুনার আগের অবস্থানে থাকা ইউটিউব চ্যানেল হচ্ছে ভারতের মনিশ ক্যাশপ সন অব বিহার। তিনে রয়েছে দেশটিরই সংবাদভিত্তিক চ্যানেল আজ তাক। চারে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা অ্যারাবিক।
যমুনার এই মাইলফলকের বিষয়ে প্রধান বার্তা সম্পাদক (সিএনই) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, এই অর্জন নিঃসন্দেহে ভালো লাগার এবং আরও এগিয়ে যেতে তাড়া দেবে। যদিও এটি একদিনে অর্জিত হয়নি। আমরা আমাদের কাজ দিয়ে আরও অনেকদূর এগোতে চাই। যেখানে কনটেন্টের মান আরও ভালো হবে, বৈচিত্র থাকবে আরও বেশি। গোটা দুনিয়ায় ছড়িয়ে থাকা সকল বাংলাভাষীরা যেন চোখ বন্ধ করেও আস্থার মাধ্যম হিসেবে যমুনাকে দেখতে পায়।
যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফাহিম আহমেদ এমন অর্জনের প্রতিক্রিয়ায় যমুনার দর্শক ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা মানুষের তথ্যের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বৈচিত্র্যের দিকেও গুরুত্ব দিয়ে থাকি। বস্তুনিষ্ঠতা টিম যমুনার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। সেই অঙ্গীকার নিয়েই মানুষের কাছে সর্বশেষ তথ্যটি সবার আগে পৌঁছে দেয় যমুনা টেলিভিশন।
কেবল কি ইউটিউবে? যমুনার ফেসবুক পেজও পিছিয়ে নেই। ফেসবুকের ক্রাউডট্যাঙ্গেল ডেটাবেসের হিসেবে প্রায়ই বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ইন্টার্যাকটিভ পেজের তালিকায় থাকে যমুনার ফেসবুক পেজ।
টিম যমুনা মনে করে, দর্শক, শুভানুধ্যায়ীরাও এই এগিয়ে যাওয়ায় সারথী। তারা যমুনায় আস্থা রেখেছেন, ভালোবেসেছেন। তাই তাদের প্রতি রইলো টিম যমুনার অভিবাদন।
/এমএইচ/এমএন
Leave a reply