যুবলীগ নেতাকে মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার ৩

|

পঞ্চগড় প্রতিনিধি:

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে ভোট করায় এবং প্রার্থীর বিরুদ্ধে কথা বলায় মারধরের শিকার হন পঞ্চগড় সদর উপজেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক শাহাদত হোসেন। এ ঘটনার মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৩ জানুয়ারি) অভিযান চালিয়ে তাদের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন, পঞ্চগড় জেলা সদরের চাঁনপাড়া এলাকার হাসিবুল ইসলাম (২৬), পূর্ব জালাসী এলাকার কামরুল ইসলাম (২৮) ও পুকুরীডাঙ্গা এলাকার এনামুল ইসলাম (৪৫)।

এর আগে, বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার পুকুরীডাঙ্গা এলাকায় নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে ডাক্তার দেখানোর জন্য ইজিবাইকে করে পঞ্চগড় জেলা শহরে যাচ্ছিলেন শাহাদত হোসেন সাদাত। পথে পঞ্চগড় জেলা শহরের জালাসী ভাসানী পার্ক এলাকায় পৌঁছালে তাদের ইজিবাইকের গতিরোধ করে ওই এলাকার এলাকার মফিজুল, জহিরুল, আল আমিন, রফিকুল. শরিফ, হাসিবুল, নাঈম, কামরুল, আব্দুল করিমসহ ১০ থেকে ১৫ জন তাকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে রাস্তার পাশে নিয়ে তাকে বেধরক মারধর শুরু করে। তারা এলাকায় নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য নাঈমুজ্জামান ভূইয়া মুক্তার কর্মী সমর্থক হিসেবে পরিচিত। এমনকি তারা মারধর করে ভিডিও ধারণ করে। পরে ওই ভিডিও বিভিন্নভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

ভিডিওতে দেখা যায়, যুবলীগ নেতা শাহাদতকে একসাথে ১০ থেকে ১৫ জন ব্যক্তি মারধর করছেন। এ সময় তিনি নিজেকে অসুস্থ দাবি করলেও তারা তাকে ছাড় দেয়নি। একসাথে কিল ঘুসি ও কাঁঠ দিয়ে মারধর করতে থাকে।

ভিডিওতে তাদের বলতে শোনা যায়, নব নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নাঈমুজ্জামান ভূইয়া মুক্তার বিরুদ্ধে নির্বাচনে কথা বলায় তাকে মারধর করা হচ্ছে। মারধরের পর আর কখনও সাংসদ মুক্তার বিরুদ্ধে কোনো কথা না বলার অঙ্গীকার করতে বাধ্য করা হয় তাকে। মারধর ও লাঞ্ছিত করার পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। পরে আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

শুক্রবার এ ঘটনায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে পঞ্চগড় সদর থানায় মামলা করেন ওই যুবলীগ নেতা। মামলার পর পুলিশ ওই মামলার তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে মূল আসামিদের এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। বর্তমানে ওই যুবলীগ নেতা পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক সাহিদুর রহমান বলেন, আমরা তিনজনকে গ্রেফতার করেছি। তাদের আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া অন্যদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply