যারা গণতন্ত্রের অর্থই বোঝে না, তারাই গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের ‘গ’ বোঝে না, বানানও জানে না। তারা বোঝে মানুষ পুড়িয়ে মারা। আর তারাই এখন আন্দোলন করছে।
আজ রোববার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে দুদিনের গোপালগঞ্জ সফরে কোটালীপাড়ায় এক জনসভায় অংশ নিয়ে একথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় যুদ্ধ ও বিশ্বের অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সামনে আরও দুর্দিন আসবে বলেও সতর্ক করেছেন শেখ হাসিনা। বলেন, করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। বিশ্বজুড়েই খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে, বাংলাদেশেও মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে। সামনে আরও দুর্দিন আসতে পারে।
তাই বাংলাদেশের এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে তা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ফসল ফলানোর পাশাপাশি বাড়িতে হাঁস-মুরগিও পালন করতে হবে। আমার দেশের মানুষ যদি মাটির সাথে এক হয়ে কাজ করে, তাহলে সব চ্যালেঞ্জই আমরা মোকাবেলা করতে পারব।
এ সময় নির্বাচনকালীন ট্রেনে আগুন দেয়ার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা এই অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের ছাড় নেই। তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি, ব্যবস্থা নেবো। এখন ডিজিটাল যুগ। সবার হাতেই স্মার্টফোন, চারদিকে সিসি ক্যামেরা। জড়িতদের প্রত্যেককে শাস্তি পেতে হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘৯৬ সালে ভোট চুরির অপরাধে নাকে খত দিয়ে খালেদা জিয়ার বিদায় হয়। ২০০৮ এর নির্বাচনে বিএনপি মাত্র ৩০টা সিট পাওয়ার পর থেকেই আর নির্বাচনে আসতে চায় না। তারা এখন কেবল নির্বাচন বানচাল করতে চায়। তবে আমি ধন্যবাদ জানাই, তাদের সব ষড়যন্ত্র আপনারা ধুলিসাৎ করে দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত কখনও শেষ হয় না। তবে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই আমরা এগিয়ে যাবো। আগামীতেও দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।
এসজেড/
Leave a reply