নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম-এমন নতুন একটি বোমা তৈরি করতে যাচ্ছে রাশিয়া। এরইমধ্যে ‘ডিআরইএল ক্লাস্টার গ্লাইড’, বোমা পরীক্ষায় ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে দেশটি। চলতি বছরই তাদের অস্ত্র কারখানাগুলোতে শুরু হবে এর উৎপাদন। ৫০ কিলোমিটার দূর থেকেও একসাথে ১৫টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই বোমা। মস্কোর দাবি, ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করবে এটি।
প্রভাবশালী দেশগুলোর মধ্যে বরাবরই চলে অস্ত্র তৈরির প্রতিযোগিতা। ক্ষমতা প্রদর্শন আর প্রতিপক্ষকে ঘায়েলে প্রতিনিয়ত শক্তিশালী সমরাস্ত্র তৈরি করছে দেশগুলো।
ড্রোন-মিসাইলের পর এবার ভিন্ন ধরনের এক বোমা তৈরির ঘোষণা দিলো মস্কো। ডিআরইএল নামের এই বোমা ৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এটি সাজোঁয়া যান, পাওয়ার প্ল্যান্ট নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, অ্যান্টি এয়ারক্র্যাফট মিসাইল সিস্টেমসহ একসাথে ১৫টি টার্গেট ধ্বংস করতে পারে। এর গতি সেকেন্ডে ২ হাজার মিটার।
এই বোমার সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব হচ্ছে এর ‘ফ্রেন্ডস অ্যান্ড ফো’ আইডেনটিফিকেশন সিস্টেম। যা ব্যবহার করে শক্তিশালী এই বিস্ফোরক চিহ্নিত করতে পারবে শত্রু ও মিত্র পক্ষ। এতে আত্মঘাতি হামলা থেকে রেহাই মিলবে।
সেল্ফ নিউট্রালাইজ ক্যাপাবিলিটি সমৃদ্ধ বোমাটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে ব্যর্থ হলে একটি নিদির্ষ্ট সময় পর অকার্যকর হয়ে পড়বে। এতে কমবে বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা।
ইন্ফ্রারেড ডিটেক্টরের মাধ্যমে বোমাটি খুব সহজেই শত্রু পক্ষের যুদ্ধবিমানের উপস্থিতি শনাক্ত করতে পারবে। প্রয়োজনে গতিপথ বদলে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে এই বোমা। অনেকেই এর তুলনা করছেন মার্কিন এজিএম-ওয়ান ফাইভ ফোর জেএসওডব্লিউ বোমার সাথে।
২০১৬ সালে শুরু হয় এই বোমা তৈরির কাজ। এরই মধ্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ডিআরইএল। চলতি বছর শুরু হবে এর উৎপাদন।
এটিএম/
Leave a reply