ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংসতায় মৃত্যু উপত্যকা গাজা। যুদ্ধ শুরুর ১০১তম দিনে এসে, এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে ২৩ হাজার ৯৬৮ ফিলিস্তিনি। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ’ এর হামলায় এখন পর্যন্ত আহত হয়েছেন ৬০ হাজার ৩১৭ জন ফিলিস্তিনি।
এদিকে, জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্পে আবারও তাণ্ডব চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। রোববার রাতের হামলায় প্রাণ গেছে ১৫ ফিলিস্তিনির।চলমান হামলায় গেল ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ১১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাছাড়াও আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৯৪ জনে।
এদিকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আইডিএফ’ এর মুখপাত্র ড্যানিয়ের হ্যাগারির দাবি, এখন পর্যন্ত গাজায় আট থেকে নয় হাজার হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, হতাহতদের বেশিরভাগই শিশু। হামলার পাশাপাশি দেখা দিয়েছে ওষুধ এবং খাবারের তীব্র সংকট। চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে হাসপাতালেই বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয় বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
এর আগে, গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া রক্তক্ষয়ী এই যুদ্ধে নিহতদের মধ্যে ৮ হাজার শিশু রয়েছে। ৬ হাজার ২শ’ নারী। এখনও ৭ হাজার ৬শ’ মানুষ গণনার বাহিরে রয়েছে।
ফিলিস্তিনি মিডিয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলার ফলে গাজায় ৫৫টি মসজিদ, তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়, তিনটি গির্জা এবং পাঁচটি ভবন ধ্বংস হয়েছে। বিবৃতি অনুসারে, ১ হাজার ৮শ’ শিশুসহ প্রায় ৬ হাজার জন এখনও নিখোঁজ রয়েছে।
ফিলিস্তিনি মিডিয়া অফিস আরও বলেছে, ইসরায়েলি দখলদারিত্বের জেরে ১ হাজার ২৭০টি গণহত্যা সংগঠিত হয়েছে।
এদিকে, ইসরায়েলি আগ্রাসন থেকে রেহাই পায়নি চিকিৎসকরাও। মোট ২০০ চিকিৎসক, ২২ জন সিভিল ডিফেন্স কর্মী এবং ৫১ জন সাংবাদিকও হামলায় নিহত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির তালিকায় রয়েছে ২৫টি হাসপাতাল, ৫২টি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র এবং ৫৫টি অ্যাম্বুলেন্সকে ইসরায়েলি বাহিনী লক্ষ্যবস্তু করেছে।
অপরদিকে, হামাসের আকস্মিক আক্রমণে ১২০০ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। আকস্মিক এই হামলায় জিম্মি করা হয় ২৪০ জন ইসরায়েলিকে।
\এআই/
Leave a reply