বাগেরহাট করেসপনডেন্ট:
বাগেরহাটের ফকিরহাটে দুই তরুণীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষনের অভিযোগে ফকিরহাট উপজেলার সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শাকিল সরদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর আগে, রোববার (১৪ জানুয়ারি) ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা বাদী হয়ে ফকিরহাট থানায় শাকিল ও তার সহযোগী মেহেদী হাসানকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করে।
মামলা দায়েরের পর শাকিল সরদারকে রাতের মধ্যেই গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার দুপুরে শাকিলকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো.আসাদুজ্জামানের আদালতে উপস্থাপন করা হলে বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এই মামলার অপর আসামি মেহেদী হাসান পলাতক রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত শাকিল সরদার ফকিরহাট উপজেলার জাড়িয়া-চৌমাথা এলাকার মোস্তাক সরদারের ছেলে। সে ফকিরহাট কাজী আজহার আলী কলেজর শিক্ষার্থী। অন্যদিকে অপর আসামি একই এলাকার মেহেদীর বাবার নাম শেখ মাছুম।
মামলা সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেলে দুই বান্ধবী চাচাতো ভাই ও তার বন্ধু মিলে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ঘুরতে যায়। পরে সেখান থেকে রাত ১০টার দিকে খানজাহান আলী মাজারে যায় তারা। সেখান থেকে আনুমানিক রাত ১১টার পর দুইটি মোটরসাইকেলে করে খুলনার দিকে রওনা দেয় তারা।
পথিমধ্যে ফকিরহাটের জাড়িয়া চৌমাথা এলাকা অতিক্রম করার সময় শাকিল সরদার এক তরুণীর ওড়না টেনে ধরে। এতে ওই তরুণী ও তার বন্ধু রাস্তায় পড়ে যায়। বিষয়টি দেখতে পেয়ে অন্য মোটরসাইকেলের চালক ও তরুণী মোটরসাইকেল থেকে নামে। তারা কিছু জানতে চাওয়ার আগেই শাকিল ও মেহেদী তাদের মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে শাকিল ও মেহেদী প্রথমে চায়ের দোকানে এবং পরবর্তীতে পাশ্ববর্তী একটি স্কুলের ভবনে নিয়ে তরুণীদের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়।
একপর্যায়ে তাদের সাথে থাকা একজন তরুণ পালিয়ে যায়। বাকিদের কাছে থাকা নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয় ধর্ষণকারীরা। শেষে ঘটনার কথা কাউকে না বলার জন্য হুমকি দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় শাকিল ও মেহেদী। আগে পালিয়ে যাওয়া তরুণ ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে ঘটনা পুলিশকে জানায়। পরে রোববার সকালে তরুণীদের নিজ বাড়িতে পায় পুলিশ।
এ বিষয়ে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মো. রাসেলুর রহমান বলেন, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে দুই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। দুই আসামির মধ্যে গ্রেফতার হয়েছে শাকিল সরদার নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আইনী প্রক্রিয়া শেষে শাকিলকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এএস/
Leave a reply