তাহমিদ অমিত:
ক্যারিয়ারের পিকফর্মে ইনজুরিতে পড়া যে কোনো খেলোয়াড়ের জন্যই দুর্ভাগ্যের। এবাদতের হোসেনের জন্য সেটা যেন আরও একটু বেশি। ঠিক বিশ্বকাপের আগেই ছিটকে যেতে হয় তাকে। লন্ডনে গিয়ে অস্ত্রোপচার করাতে হয় হাঁটুতে।
এবাদতের টি-টোয়েন্টিতে খেলার বিষয়ে নির্বাচকরা বলছেন, ‘বাদ’। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়েই আবারও ক্রিকেটে ফিরতে চান পেসার এবাদত হোসেন। হাঁটুতে অস্ত্রোপচার শেষে বর্তমানে রিহ্যাবে থাকা এবাদতের প্রত্যাশা খুব দ্রুতই মাঠে খেলার মত ফিট হয়ে যাবেন তিনি।
পুনর্বাসনের তৃতীয় পর্যায়ে থাকা এই পেসারের অপেক্ষা এখন পায়ের পেশী শক্তিশালী হওয়ার। খেলা থেকে বাইরে থাকলেও এই সময়ে তার আগের বোলিংয়ের ভিডিও দেখার সঙ্গে সঙ্গে কাজ করছেন পুরনো ফর্মে নিজেকে ফিরে পেতে।
দারুণ ফর্মে থাকলেও ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে পারেননি এবাদত। যমুনা টেলিভিশনকে তিনি বলেন, ক্যাপ্টেন আমাকে মিস করেছে, টিমও আমাকে মিস করেছে, আমিও মিস করেছি। চার বছর পরপর ওয়ানডে বিশ্বকাপ হয়। এই সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে।
হাঁটুর মেজর অপারেশন বলেই ফিরতে দেরি হবে, জানতেন এবাদত। নির্বাচকরাও জানিয়ে দেন জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাওয়া যাবে না তাকে। কিন্তু এমন ভাবনাকে মিথ্যা প্রমাণ করতে চান এবাদত।
তিনি বলেন, অবশ্যই আমি ফিরতে চাই। ওয়ানডে বিশ্বকাপ মিস করার পরে বিসিবি প্রেসিডেন্ট আমাকে লন্ডন পাঠিয়েছে। প্রেসিডেন্ট আমাকে সে সময় মুঠোফোনে বলেছিলেন, ওয়ানডে বিশ্বকাপ মিস হলেও যাতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটি মিস না হয়। সেভাবেই এগুচ্ছি আমি। বাকিটা দেখা যাক।
মিরপুরে চলছে এবাদতের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া। বালুর মধ্যে কখনও শরীর নিয়ন্ত্রণ করছেন অথবা কখনো বল হাতে ডামিতেও দেখা যাচ্ছে তাকে। এবাদত জানালেন, পুনর্বাসনের তৃতীয় পর্যায়ে আছেন তিনি। পায়ের শক্তিও বিল্ডআপ করছেন প্রতিনিয়ত। তার উন্নতিতে দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকও খুব খুশি।
ক্যারিয়ারে বেশ বাজে সময় পার করছেন পেসার এবাদত। তবে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন শঙ্কটকেও সম্ভাবনায় পরিণত করার লক্ষ্যে। বললেন, নিজের আগের বোলিং এর ভিডিও দেখছেন। সফলতা গুলো তাকে উৎসাহ যোগাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
/এমএইচ
Leave a reply