মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত পরিস্থিতি, ভয়াবহ বিপর্যয়ের শঙ্কা

|

ছবি: রয়টার্স।

ইসরায়েল ও পশ্চিমারা যখন মধ্যপ্রাচ্যে একের পর এক হামলা চালাচ্ছে তখন অঞ্চলটিতে নিজেদের সামরিক উপস্থিতির জানান দিলো ইরান। ইরাকে মোসাদের সদর দফতরে হামলা চালিয়ে শত্রুদের দিলো স্পষ্ট বার্তা। সম্প্রতি হুতি-হিজবুল্লাহসহ ইরান সমর্থিত বিভিন্ন গোষ্ঠীর ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে তেহরানের এই পাল্টা আক্রমণ অঞ্চলটিকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলেছে বলেই মত আন্তর্জাতিক মহলের। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত দুই দশকে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম পরাশক্তি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে ইরান। প্রভাবশালী এই দেশটি দেশে দেশে গড়ে তুলেছে প্রক্সি গ্রুপ। লেবাননে হিজবুল্লাহ, ইয়েমেন হুতি, ইরাকে শিয়া গোষ্ঠী, সিরিয়ায় আসাদ সরকারসহ বিভিন্ন পক্ষকে নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ রয়েছে তেহরানের বিরুদ্ধে।

এতদিন মধ্যপ্রাচ্যে শত্রুদের এই তৎপরতার সরাসরি কোনো জবাব দেয়নি ইরান। এবার যেন নীরবতা ভাঙলো দেশটি। ইরাকে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হেডকোয়ার্টারে চালানো হয়েছে হামলা। সিরিয়ায়ও বেশকয়েকটি স্থানে মিসাইল ছুঁড়েছে তাদের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী। যদিও মোসাদের হেডকোয়ার্টার নয়, বরং বেসামরিকদের ঘরবাড়িতে হামলার অভিযোগ তুলেছে কুর্দিরা।

আন্তর্জাতিক মহল বলছে, বিবাদমান পক্ষগুলোর এমন আগ্রাসী আচরণ মধ্যপ্রাচ্যে ভয়াবহ বিপর্যয়ের শঙ্কা তৈরি করেছে। দাবি, অস্থিতিশীলতার এই সুযোগে সক্রিয় হচ্ছে আইএসের মতো বিভিন্ন জঙ্গীগোষ্ঠী।

কাতার প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন হুতিদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে স্বাভাবিক করার পরিবর্তে উল্টো পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে। বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যজুড়েই হচ্ছে সংঘাত। কোনো অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে পড়লে অন্যান্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোও সক্রিয় হয়ে উঠে। যার উদাহরণ ইরানে আইএসের হামলা।

কাতারসহ সংঘাত বন্ধে আগ্রহী দেশগুলো বলছে, পাল্টাপাল্টি সামরিক তৎপরতায় লাভবান হবে না কোনো পক্ষ। উল্টো বাড়বে যুদ্ধের ভয়াবহতা। এমন পরিস্থিতিতে, কূটনৈতিক সমাধানে নজর দেয়ার আহ্বান তাদের।

\এআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply