রাজধানীসহ দেশজুড়ে শীতের তীব্রতায় কাঁপছে মানুষ, কেঁপে উঠছে জনপদ। অনেকের মুখেই শোনা যাচ্ছে যে, এবছর শীত একটু বেশিই জাঁকিয়ে বসেছে। কেউ কেউ একে ‘অস্বাভাবিক’ও বলছেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার দীর্ঘ সময় ধরে ঘন কুয়াশা পড়তে দেখা যাচ্ছে। কোথাও কোথাও ১৮ থেকে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত কুয়াশা থাকতে দেখা যাচ্ছে। এরমধ্যে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সারা দেশ কুয়াশাচ্ছন্ন থাকলেও খুলনা বিভাগের কিছু অংশে কুয়াশার উপস্থিতি তুলনামূলক কিছুটা কম। প্রশ্ন উঠেছে– সারা দেশ যখন ঘন কুয়াশার চাদরে আবৃত, তখন খুলনায় কুয়াশার উপস্থিতি কম কেন?
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) এ প্রসঙ্গে আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান খান বলেন, যেহেতু খুলনা বিভাগের কিছু কিছু অংশের আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে, তাই ওইসব অঞ্চলে কুয়াশার পরিমাণ কিছুটা কম। তবে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে ঘন কুয়াশা রয়েছে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত, কোথাও বিকেল পর্যন্ত বিদ্যমান থাকবে কুয়াশা। এছাড়া, শীতের তীব্রতা আরও এক সপ্তাহ অব্যাহত থাকার খবর দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ভবিষ্যদ্বাণী ও বিশ্লেষণ অনুযায়ী, এই কুয়াশাচ্ছন্ন অবস্থা আরও ৪ থেকে ৫ দিন অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থাৎ, চলতি মাসের ২৩ তারিখ পর্যন্ত বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা যাবে কুয়াশা।
এদিকে, বুধবার মধ্যরাত বা বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল নাগাদ বৃষ্টির পূর্বাভাসও দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আব্দুর রহমান খান বলেন, আগামীকাল থেকে খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের পশ্চিমাংশে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। যেসব অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হবে, সেখানে কুয়াশা কমে যাবে। এছাড়া, দেশের অন্যান্য অঞ্চলে কুয়াশা অব্যাহত থাকবে। বৃষ্টি হলে শীতের তীব্রতা আরও কিছুটা বাড়বে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, আজ দিনের বেশিরভাগ সময় রাজধানীসহ সারা দেশ আংশিক মেঘলা থেকে কুয়াশাচ্ছন্ন থাকবে। রাতের তাপমাত্রার খুব বেশি পরিবর্তন না হলেও সূর্যের দেখা মেলায় দিনের তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে। এদিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশার কারণে ফেরি ও নৌযান চলাচল ব্যহত হচ্ছে।
আজ রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাঁড়িয়েছে। তবে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বান্দরবান, সিরাজগঞ্জ ও পাবনায় ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
/এএম
Leave a reply