বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের প্রয়াণ দিবস আজ। ২০১৪ সালের ১৭ জুন তিনি চলে গিয়েছিলেন না ফেরার দেশে। সেবছর ফুসফুসের সংক্রমণকে সঙ্গী করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বাংলা সিনেমার অভিনয়ের নক্ষত্র। তখন কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠলেও শেষ পর্যন্ত মরণের দুয়ার থেকে আবির মেখে ফিরে আসতে পারেননি।
সুচিত্রা সেনের অসামান্য অভিনয় ও মার্জিত সৌন্দর্য দাগ কেটে আছে কোটি দর্শকের হৃদয়ে। অভিনয়গুণে যিনি হয়ে উঠেছিলেন দুই বাংলার চলচ্চিত্রপ্রেমী মানুষের কাছে মহানায়িকা। নক্ষত্রের চলে যাওয়ার দিনে তার সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য তুলে ধরা হলো—
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পুরস্কার পাওয়া প্রথম বাঙালি অভিনেত্রী হলেন সুচিত্রা সেন। ১৯৬৩ সালে ‘মস্কো চলচ্চিত্র উৎসব’-এ তিনি পুরস্কার পেয়েছিলেন ‘সাত পাকে বাঁধা’ ছবির জন্য।
বাংলা সিনেমার ঐতিহাসিক জুটি হিসেবে স্বীকৃত উত্তম-সুচিত্রা। ১৯৫৩ সালে এই জুটির প্রথম ছবি ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ মুক্তি পায়। একসঙ্গে মোট ৩১টি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন এই আইকনিক জুটি।
মহানায়িকা সুচিত্রা সেন নিজেকে অন্তরালে রাখার একান্ত সিদ্ধান্ত নেন। সেই সিদ্ধান্ত এতোটাই দৃঢ় ছিল যে, ২০০৫ সালে দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কারও নিতে যাননি। অন্তরালে চলে যাওয়ার পর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মাত্র দুবার জনসমক্ষে এসেছিলেন তিনি।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অমর উপন্যাস ‘দেবদাস’। এই উপন্যাস অবলম্বনে বলিউডে বেশ কয়েকটি ছবি হয়েছে। তবে প্রথমবার হিন্দি সিনেমায় ‘দেবদাস’র পারু চরিত্রে পর্দায় হাজির হয়েছিলেন সুচিত্রা সেন। এটি তার অভিনীত প্রথম হিন্দি ছবিও বটে।
ক্যারিয়ারে মাত্র একটি সিনেমায় দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন এই মহানায়িকা। সিনেমার নাম ‘উত্তর ফাল্গুনী’। এতে যৌনকর্মী পান্নাবাই ও তার কন্যা আইনজীবীর ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল তাকে। সেসময় এই ছবি নিয়ে তুমুল শোরগোল উঠেছিল।
১৯৩১ সালে বাংলাদেশের পাবনায় জন্ম সুচিত্রা সেনের। বাড়ির সকলের কাছে তিনি ছিলেন ‘কৃষ্ণা’। আর স্কুলে ভর্তির সময় তার নাম হয়ে যায় ‘রমা’। সেই রমাই যখন সিনেমার জগতে পা রাখলেন, হয়ে উঠলেন ‘সুচিত্রা সেন’। হয়ে উঠলেন ‘টলিউডের ডিভা’। একসময় তিনি রূপালি পর্দার জগত থেকে হয়ে উঠলেন আকাশের জ্বলজ্বলে নক্ষত্ররুপে।
/এএম
Leave a reply