চালের বাজারে অস্থিরতা: অভিযানের প্রভাব নেই রাজধানীর বাজারে

|

রিমন রহমান:

নির্বাচনের পর হঠাৎ করেই বৃদ্ধি পেয়েছে চালের দাম। সরু ও মোটা— সব চালেই কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৪ থেকে ৬ টাকা পর্যন্ত। ভোটে অস্থিরতা তৈরি হবে, এমন আশঙ্কায় সরবরাহ কমিয়ে অস্থির করা হয় চালের বাজার। তাতেই বাড়ে চালের দাম।

এই কারসাজির পেছনে কলকাঠি নাড়ে বড় বড় মিলের মালিক এবং গুটিকয়েক আড়তদার সিন্ডিকেট। ফলে আমনের ভরা মৌসুমে চালের সংকট না থাকলেও দাম বাড়িয়ে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে কোটি কোটি টাকা।

এমনকি ঢাকার বাইরে আড়তে চালের জন্য চাহিদা দেয়া হলেও সরবরাহ করা হচ্ছে কম। এ অবস্থায় দাম কমাতে নির্দেশ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। এরপ্রেক্ষিতে চালানো হচ্ছে অভিযান। কিন্তু রাজধানীর বাজারে এর প্রভাব নেই।

রাজধানীর চাল বিক্রেতারা জানিয়েছেন, আগে যে চাল নেয়া হতো, তার থেকেও কম নিতে হয় এখন। নির্বাচনের ৫ দিন আগে থেকে এখন পর্যন্ত এক বস্তা চালের কোনোটিতে দুই-তিন-চার বা ৫শ’ টাকা বেড়েছে। ভোটে গন্ডগোল-হরতাল হবে, এ উসিলায় দাম বেড়েছে। সরকার নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত ছিল, এ সুযোগে তারা দাম বাড়িয়েছে।

এদিকে, সব ধরনের চালের দামই ঊর্দ্ধমুখী। মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা কেজি দরে। মাঝারি ও সরু চালের দামও ঊর্ধ্বমুখী। প্রশ্ন হচ্ছে, এমন দাম বৃদ্ধির পেছনে কলকাঠি নাড়ছে কারা?

ঢাকার এক চাল বিক্রেতা বলেন, ভোটের আগে ব্রি-২৮ বিক্রি করেছিলাম ৪৭ টাকায়। তা এখন কিনতে হচ্ছে ৫২ টাকায়। তাই বিক্রি করতে হচ্ছে ৫৪ টাকায়। স্বর্ণ চাল বিক্রি করেছি ৪৫ টাকায়, এখন ৫০ টাকায় কেনা লাগছে। বিক্রি করছি ৫২ টাকায়, ৭ টাকা দাম বেড়েছে। চালের ব্যবসার সাথে জড়িত ৪০ বছর। আমরা কখনও দেখিনি, মৌসুম এলে এভাবে দাম বাড়ে।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪ ভাগের বেশি। আর সরু চালের দাম বৃদ্ধির হার ৩ শতাংশ।

চালের দাম বৃদ্ধির জন্য মিল ও কোম্পানিকে দায়ী করে বিক্রেতারা বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে দামি বাড়িয়েছে। হতে পারে সরকারকে বিপাকে ফেলতে। না হয় পর্যাপ্ত পরিমাণ ধান-চাল থাকার পরও কেন দাম বাড়বে?

ক্রেতারা মনে করেন, কারণ ছাড়া যারা হঠাৎ করে চালের দাম বৃদ্ধি করেছে, তাদের কঠোর শাস্তি দেয়া প্রয়োজন।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply