অর্ধশতাব্দী পর অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে দেখা মিলবে সুপারসনিক বাণিজ্যিক বিমান। ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা) বহুল প্রতীক্ষিত ‘এক্স-৫৯’ বিমানের ছবি প্রকাশ করেছে। এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি বিষয়ক গণমাধ্যম মেশাবল এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্ধশতাব্দী আগে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের আন্তঃজেলা বাণিজ্যিক বিমান সেবায় সুপারসনিক গতিতে এরোপ্লেন চলাচল নিষিদ্ধ করেছিল। নিষেধাজ্ঞাটি প্রকট বজ্রধ্বনি ও ঝাঁকুনিপূর্ণ শক ওয়েভ থেকে রক্ষা করেছে সাধারণ মানুষদের। বাস্তবে একটি প্লেনের শব্দের গতি প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৭৬৭ মাইল বেগে চললে, সেটিকে যথাযথভাবে সোনিক বুম হিসেবে ধরা হয়। নাসা’র মতে, যারা সামরিক এয়ারক্রাফটের মতো বায়ুমণ্ডলীয় বিস্ফোরণের অভিজ্ঞতা পূর্বে পাননি, তাদের জন্য এটি একটি বিস্ফোরণের শব্দের মতো।
তবে মহাকাশ সংস্থাটির দাবি, বিকট শব্দ নিয়ন্ত্রণে সক্ষম ‘এক্স-৫৯’ মডেলের নতুন এই বিমানটি। নাসার প্রকাশিত ‘এক্স-৫৯’ বিমানটি প্রায় ১শ’ ফুট দীর্ঘ। ইতিমধ্যে সংস্থাটির পরীক্ষামূলক মডেলটি যুক্তরাষ্ট্রের আকাশের ওপর দিয়ে ৯২৫ মাইল বেগে ছুটতে সক্ষম হয়েছে। যেখানে বেশিরভাগ বাণিজ্যিক বিমান ৩৫ হাজার ফিট ওপর দিয়ে উড়ে, সেখানে ‘এক্স-৫৯’ এয়ারক্রাফটটি ৫৫ হাজার ফিট উচ্চতায় উড়বে বলে দাবি করেছে নাসা।
বিকট শব্দ প্রসঙ্গে লকহিড মার্টিন অ্যারোনটিক্সের ইঞ্জিনিয়ারিং ও প্রযুক্তির ভাইস প্রেসিডেন্ট জন ক্লার্ক বলেন, প্রকৌশলীরা প্রকট বজ্রধ্বনি নিয়ন্ত্রণে বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন। বিশেষভাবে ডিজাইন করা ‘এক্স-৫৯’ মডেলটি শ্রবণযোগ্য শব্দ তৈরি করবে বলে আসা করেন তিনি। অনেকটা গাড়ির দরজা বন্ধ করার মতো শব্দ তৈরি করবে ‘এক্স-৫৯’ মডেলটি।
ক্লার্ক আরও বলেন, এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি সুপারসনিক বাণিজ্যিক বিমান ব্যবহারের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতে অর্ধেক সময় কমিয়ে দিবে।
তবে সুপারসনিক ফ্লাইটের অর্থনৈতিক কার্যকারিতা ঘিরে বড় প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে। তবে সব চিন্তা বাদ দিয়ে মাত্র আড়াই ঘণ্টার মধ্যে লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে নিউ ইয়র্ক সিটিতে যাওয়া এখন সময়ের দাবি।
\এআই/
Leave a reply