গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার সার্বিক প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। আগামী ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফার ইজতেমায় অংশ নেবেন মাওলানা যুবায়েরপন্হীরা । আর ৯ থেকে ১১ ফ্রেব্রুয়ারি দ্বিতীয় দফায় অংশ নেবেন মাওলানা সাদপন্হীরা।
এবারও ইজতেমা নিয়ে সংর্ঘষে জড়ায় দুই পক্ষ। রোববার (২১ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর উত্তরায় একটি মসজিদে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। এমন পরিস্থিতিতে বিকেলে টঙ্গি ইজতেমা মাঠে প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। যেখানে বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রী ও ইজতেমার দুই পক্ষ উপস্থিতি ছিলেন।
এ সময় আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমাদের সাথে মিটিংয়ে কথা হয়েছে যে, তারা দিয়াবাড়িতে ইজতেমার প্রস্তুতি নিতে চান। এটা জানিয়েই তারা সেখানে সেটা করা শুরু করে দিয়েছেন। যতোক্ষণ পর্যন্ত আমরা ক্লিয়ারেন্স না দেব, ততোক্ষণ পর্যন্ত কিছু করা যাবে না। অনুমতি ছাড়া দিয়াবাড়িতে ইজতেমার প্রস্তুতি নেয়া হলে উচ্ছেদ করা হবে বলে জানান তিনি।
পরে, তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের রেষারেষি বিব্রতকর বলে মন্তব্য করেছেন ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আমরা কাজ করে থাকি। অথচ সেখানে যদি আমাদের মধ্যে বিভেদ থাকে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এ বিভেদ চাই না। অতীতের মতো ইজতেমায় আবারও হৃদ্যতা ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান তিনি।
আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মসজিদে গিয়ে আপনারা দখল-বেদখল করেন। এতে লজ্জায় আমাদের মাথা নত হয়ে যায়। আপনাদের কাছে অনুরোধ রইলো, এই কর্ম থেকে আপনারা বিরত থাকবেন। সবাই মিলেমিশে চলবেন।
অতীতের মতো তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষ হানাহানি ভুলে আবারও একসাথে ইজতেমার আয়োজন করবেন, এমনটাই প্রত্যাশা করছেন মুসল্লিদের বড় অংশ।
/এএম/এমএন
Leave a reply