গাজায় থামছেই না ইসরায়েলি আগ্রাসন। যতই দিন যাচ্ছে বাড়ছে অভিযানের পরিধি। বড় হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। যুদ্ধ শুরুর ১০৯তম দিনে এসে, এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে ২৫ হাজার ১০৫ ফিলিস্তিনি। গুরুতর আহত দ্বিগুণেরও বেশি। যাদের কাউকেই দেয়া সম্ভব হচ্ছে না প্রয়োজনীয় চিকিৎসা। এদিকে, হামাসের যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাব বার বার নাকচ করে দিচ্ছে নেতানিয়াহু। এক প্রতিবেদনে তুরস্কের গণমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলিদের একের পর এক হামলায় ধ্বংস হয়েছে উপত্যকার বহু শরণার্থী শিবির, হাসপাতাল।তাই নিরুপায় হয়েই খোলা আকাশের নীচে বাস করছে অনেক অসহায় গাজাবাসী।
ইসরায়েলি আগ্রাসনের ভয়াবহতা প্রসঙ্গে এক ফিলিস্তিনি বলেন, এ নিয়ে সাত বার থাকার জায়গা হারালাম। সবশেষ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাবু পেতেছিলাম। কিন্তু সেখানে এতো ভয়ংকর হামলা চালাচ্ছে ওরা! যে কোনোমতে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে এসেছি।
তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী সবখানে হামলা চালাচ্ছে। কোথাও একটু স্বস্তিতে দু’টো দিন থাকার উপায় নেই। আল আকসা বিশ্ববিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছিলাম। হঠাৎ সেখানে শুরু হলো তাণ্ডব। বড় বড় ট্যাংক নিয়ে মূল ফটকের সামনে চলে এলো ওরা। জানি না এখন কোথায় যাবো! চার ঘণ্টা ধরে ছুটছি, কোথায় ঠাঁই মিলবে একমাত্র মহান আল্লাহ ভালো জানেন।
উপত্যকাটিতে বাস প্রায় ২৫ লাখ মানুষের; যাদের ২৩ লাখই এখন বাস্তুচ্যুত। যাদের কেউই পাচ্ছে না প্রয়োজনীয় চিকিৎসা। ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না ত্রাণ সামগ্রী। চিকিৎসা সামগ্রী, বাসস্থান তৈরির উপাদান এমনকি খাবার প্রবেশেও রয়েছে নেতানিয়াহু প্রশাসনের নানা রকমের নিষেধাজ্ঞা। প্রতিদিন একটু একটু করে ধুঁকে ধুঁকে মরতে হচ্ছে গাজার অসহায় মানুষগুলোকে।
স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাব দিলেও বার বার তা প্রত্যাখ্যান করছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, আর কত প্রাণ গেলে ক্ষান্ত হবে দেশটি? সমাপ্তি ঘটবে যুদ্ধের?
\এআই/
Leave a reply