নেত্রকোণায় চাঁদাবাজির অভিযোগে সিএনজি চালকদের বিক্ষোভ, দুই পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

|

নেত্রকোণা করেসপনডেন্ট:

নেত্রকোণায় সিএনজি চালকদের বিরুদ্ধে ঘন ঘন মামলা দেয়াকে কেন্দ্র করে বিক্ষুব্ধ সিএনজি চালকরা। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দ্বিতীয় দিনের মতো কয়েক ঘণ্টা শহরের মুক্তারপাড়া পৌরসভার সামনের সড়ক অবরোধ করে রাখে। এসময় জেলা শহরের প্রধান সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

পরে পরিস্থিতি স্বাভাভিক করতে অভিযুক্ত পুলিশ পরিদর্শক মৃদুল রঞ্জন দাস ও পরিদর্শক আকবর হোসেনকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ।

জেলা অটোটেম্পু, অটোরিকশা ও সিএনজি চালক শ্রমিক ইউনিয়নের চালকরা অভিযোগ করে বলেন, জেলার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মৃদুল রঞ্জন দাস দায়িত্বে আসার পর থেকেই চাঁদা না দিলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হচ্ছে। একই গাড়ির বিরুদ্ধে মাসে ৩-৪ বার করে মামলা দিচ্ছেন তারা। ট্রাফিক পুলিশ মামলা দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, অনেক সময় তারা শ্রমিকদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেন। চালকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করারও অভিযোগ করেন তারা।

বিষয়টি জানতে চাইলে জেলা অটোটেম্পু, অটোরিকশা ও সিএনজি চালক শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. বিল্লাল শেখ বলেন, পুলিশের বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে আমরা অতিষ্ঠ। নিয়মিত তাদের চাঁদা না দিলেই তারা ড্রাইভারদের আটকে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। শ্রমিকরা নিরুপায় হয়ে এখন বিক্ষোভে নেমেছে। দুপুর একটার দিকে পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম খান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শিবলী সাদিক পৌরসভার মোড়ে উপস্থিত হয়ে শ্রমিকদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা অবরোধ কর্মসূচী প্রত্যাহার করে নেয় বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মৃদুল রঞ্জন দাস ও আকবর হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলেও তাদের পাওয়া যায়নি।

এদিকে, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ লুৎফর রহমান বলেন, পুলিশের সাথে সিএনজি শ্রমিকদের ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপ আলোচনা করে উদ্ভুত পরিস্থিতি সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেয়া হয়েছে। পরে তারা সড়ক অবরোধ তুলে নেয়।

উল্লেখ্য, গত সোমবার সকাল ১১টার দিকে কুড়পারস্থ সিএনজি স্ট্যান্ডে গিয়ে ট্রাফিক পুলিশ আকবর হোসেন মামলা দিলে শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে রাস্তা অবরোধ করে। এসময় রাস্তা অবরোধ করে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মৃদুল রঞ্জন দাস ও এএসআই আকবর হোসেনের অপসারণের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে অটোটেম্পু, অটোরিকশা ও সিএনজি চালকরা।

/এএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply