কাতার ও মিসরের মাধ্যমে হামাসকে দুই মাসের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল। গাজায় জিম্মি মুক্তির চুক্তি হিসেবে প্রস্তাবটির অনুমোদন দেয় দেশটির যুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রিসভা।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে অনলাইনভিত্তিক মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস। সিএনএনসহ ইসরায়েলের কিছু গণমাধ্যমও এমনটা জানিয়েছে।
ইসরায়েলি দুই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়, হামাসের হাতে বন্দি সব জিম্মিকে মুক্তি দেয়ার বিনিময়ে গাজায় কার্যকর করা হবে দুই মাসের যুদ্ধবিরতি। তাদের দাবি, প্রথম ধাপে মুক্তি দিতে হবে নারী ও ষাটোর্ধ্ব জিম্মিদের। পরবর্তীতে, ধাপে ধাপে মুক্তি দিতে হবে তরুণ ও পুরুষ জিম্মিদের। সবশেষে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দিতে হবে নিহতদের মরদেহ। বিনিময়ে প্রতি ধাপেই মুক্ত করা হবে ইসরায়েলের কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিদের। তবে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়া হয়েছে, কোনোভাবেই ৬ হাজার বন্দির সবাইকে মুক্তি দেবে না নেতানিয়াহু প্রশাসন।
উল্লেখ্য, গত বছর ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে হামলা চালায় হামাস। এরপর গাজায় তিন মাসের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত প্রাণহানি ছাড়িয়েছে ২৫ হাজার একশ।
গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর (বর্ধিত) পর্যন্ত মানবিক কারণে যুদ্ধবিরতি হয় গাজায়। বিরতির সাত দিনে মোট ১০৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। বাকি ১৩২ জন এখনও তাদের হাতে আটক রয়েছে। কিন্তু এরপর থেকে নতুন করে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় আর ফল আসেনি। এবার ইসরায়েলের পক্ষ থেকে দেয়া হলো যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব।
/এএম
Leave a reply