ফুটবলের উন্নয়নে যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছে ১০০ কোটি টাকা চেয়েছে বাফুফে

|

ছবি: সংগৃহীত

যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছে ফুটবল চালাতে ১০০ কোটি টাকা চেয়েছেন ফেডারেশন কর্মকর্তারা। তবে মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন সে অর্থে কোনো আশার বাণী শোনাননি, বলেছেন সরকারের সাথে কথা বলবেন। বরং স্টেডিয়াম ও স্পন্সর সঙ্কট নিরসনে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।

ফেডারেশনগুলোর সাথে একে একে বসছেন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন। তারই ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় দিন বসলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাথে। মন্ত্রীর সাথে বসেই ফুটবলকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন বাফুফে কর্মকর্তারা। কাতারে চলছে ২৪ দলের এশিয়ান কাপ ফুটবল। খেলছে- ভারত, হংকং, ইন্দোনেশিয়ার মতো দলগুলো। চূড়ান্তপর্ব খেলার স্বপ্ন আছে বাংলাদেশেরও। সালাম মুর্শেদী-কাজি নাবিলরা সেই স্বপ্ন দেখিয়েছেন নাজমুল হাসান পাপনকে।

সচিবালয়ে প্রায় তিন ঘণ্টার সভা শেষে যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান বলেন, ফুটবলে দেশে-বিদেশে খেলায় অংশগ্রহণে অনেক ব্যয় হয়। তাই তাদের বাজেট চাহিদাও বেশি থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। বাফুফে কর্তারা সাক্ষাতে স্টেডিয়াম সংকটের পাশাপাশি সীডমানির (স্থায়ী আমানত) বিষয়টিও তুলে ধরেন। স্থায়ী আমানতের সুদ দিয়ে ফুটবল ফেডারেশন বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে।

ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, এখনই ১০০ কোটি টাকার সীডমানি নিয়ে ভাবছি না। এটা নিয়ে মন্ত্রণালয় ও সরকারের সঙ্গে বসতে হবে। তাদের রাজি করানো যাবে কিনা জানি না।

ক্রীড়ামন্ত্রী ফুটবলের বর্তমান সংকট নিরসনকে প্রাধান্য দিয়ে বলেন, আপাতত সামনে যে খেলাগুলো রয়েছে সেগুলোর স্পন্সর করতে হবে। অবকাঠামো সমস্যার সমাধান করার দিকে নজর দিতে হবে।

কমলাপুর স্টেডিয়ামের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, কমলাপুর স্টেডিয়াম উন্নয়নের বিষয়টি আমরা ভাবছি। যদি আরও উন্নত করা যায়, তাহলে সেখানেও অনেক টুর্নামেন্ট হতে পারে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম নিয়ে নাজমুল হাসান বলেন, বাফুফের মাঠ সংকট প্রকট। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম তাদের দরকার।

ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, বাফুফে বলেছে কয়েক বছরের মধ্যে এশিয়া কাপে খেলা সম্ভব। এজন্য কী প্রয়োজন সেটার বিস্তারিত চাওয়া হয়েছে। তাদের চাহিদা আমরা কতটুকু পূরণ করতে পারি দেখব। তবে অসুস্থতার কারণে সভায় যোগ দিতে পারেননি বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।

উল্লেখ্য, জাহিদ আহসান রাসেল যুব ও ক্রীড়াপ্রতিমন্ত্রী থাকাবস্থায় ফুটবল ফেডারেশন ২০ কোটি টাকা পেয়েছিল। শর্ত ছিল স্থায়ী আমানতের সুদ দিয়ে বাফুফে চলবে। সেই টাকা বাফুফে রাখতে পারেনি, খরচ করে ফেলেছে করোনার সময়। গত অর্থবছরে সরকারের কাছে আরও ৪৮০ কোটি টাকা চায় তারা। সেই প্রকল্প বাতিল হয় বাফুফের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগে।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply