২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে উত্তাপ ছড়াচ্ছে চট্টগ্রামের রাজনীতির মাঠ। আগামীকাল রায়ের দিন রাজপথে অবস্থানের পাল্টাপাল্টি ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ। এ নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। তারা জানিয়েছে, কাউকেই সভা সমাবেশ করতে দেয়া হবে না।
২০০৪ সালে ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত হয় আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতাকর্মী। আগামীকাল বুধবার চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য রয়েছে।
রায় সামনে রেখে এখন উত্তপ্ত চট্টগ্রামের রাজনীতির মাঠ। গত ৪ অক্টোবর এক সমাবেশ থেকে, রায়ের দিন নগরীর লালদিঘী ময়দানে জনসভার ঘোষণা দেন বিএনপি নেতারা। অন্যদিকে রায়ের আগের দিন থেকে টানা তিনদিন রাজপথে থাকার পাল্টা ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ।
এরই মধ্যে জনসভার অনুমতি চেয়ে পুলিশ কমিশনারের কাছে আবেদনও করেছে বিএনপি।
অন্যদিকে, এই রায়কে ঘিরে যে কোন ধরণের নাশকতা প্রতিহত করতে নগরীর ১৭ টি স্পটে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেবেন বলে জানান, সরকারি দলের নেতারা।
পুলিশ বলছে, নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে ওইদিন কাউকে কোন ধরণের সভা সমাবেশ করার অনুমতি দেয়া হবে না।
চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারী জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ের দিনও দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছিলো চট্টগ্রামের বিএনপি নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে পুলিশের সাথে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় তাদের।
Leave a reply