সমালোচনা ও বিতর্কের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামায় নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে হত্যা মামলার আসামি কেনেথ স্মিথের। দেশটির ইতিহাসে নাইট্রোজেন দিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের এটিই প্রথম ঘটনা। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কার্যকর করা হয় কেনেথ স্মিথের সাজা।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আলাবামা অঙ্গরাজ্যের গভর্ণর। কর্তৃপক্ষের দাবি, এটিই মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সবচেয়ে কম বেদনাদায়ক ও মানবিক পদ্ধতি। আলবামা অঙ্গরাজ্য প্রাণনাশক ইনজেকশনের পরিবর্তে নাইট্রোজন গ্যাস ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়ার পরই শুরু হয় তুমুল বিতর্ক।
প্রতিবাদ জানায় জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনও। এমনকি আপিল করেছিলেন স্মিথ নিজেও। যদিও তার আপিল খারিজ করে দেন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট। ১৯৮৯ সালে করা খুনের অপরাধে কেনেথ স্মিথের মৃত্যুদণ্ড সাজা হয়েছিলো।
দেশটির আলাবামা অঙ্গরাজ্যে ১৯৮৯ সালে ইলিজাবেথ সেনেটকে এক হাজার ডলারের বিনিময়ে হত্যা করেন স্মিথ। নিহতের নারীর স্বামী ছিলেন একজন ঋণগ্রস্ত ধর্মপ্রচারক। স্ত্রীর জীবন বীমার অর্থ সংগ্রহ করার জন্য তিনি কেনেথ স্মিথ ও ফরেস্ট পার্কারকে ভাড়া করেন। তদন্তকারীরা তাকে গ্রেফতার করতে এলে আত্মহত্যা করেন যাজক স্বামী।
২০১০ সালে পার্কারের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত হয় ৫৮ বছর বয়সী স্মিথের বিরুদ্ধেও। ফলে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত।
দুবছর আগেও একবার স্মিথকে প্রাণঘাতি ইনজেকশনের মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড দেয়ার চেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু রাত ১২টা বাজার আগে মৃত্যুসূচ ফোটানোর জন্য কেনেথের শিরা খুঁজে পাননি সংশ্লিষ্টরা। যার ফলে মৃত্যুদণ্ডাদেশের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয় এবং তিনি সে যাত্রা প্রাণে বেঁচে যান। অবশেষে গতকাল নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
/এএম
Leave a reply