শাকিল হাসান:
ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বড় অংশজুড়েই চলছে স্টল-প্যাভিলিয়ন নির্মাণের কাজ। প্যাভিলিয়ন মজবুত করতে ব্যবহার করা হচ্ছে নানা উপকরণ। এতে খরচের সাথে বেড়েছে সৌন্দর্য্যও। ফেব্রুয়ারি মাসে লেখক-পাঠকের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠবে অস্থায়ী এসব স্থাপনা।
বলা হচ্ছিল, অমর একুশে বইমেলার প্রস্তুতির কথা। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ চলছে। তাই সময় খুব বেশি নেই। উদ্বোধনের আগেই কাজ শেষ করার আশা দায়িত্বপ্রাপ্তদের।
মেলার প্যাভিলিয়ন তৈরিতে কর্মরত একাধিক শ্রমিক বলেন, কম সময়ের মধ্য চাপ নিয়ে স্টল-প্যাভিলিয়ন করতে হয়। সময় একটু বেশি পেলে ভালো হয়। আশা করছি, এবারের কাজ ভালো হবে।
কাঠমিস্ত্রি, রঙ মিস্ত্রি, ইলেকট্রিক মিস্ত্রি, ডিজাইনারসহ নানা পেশার মানুষের শ্রমে-ঘামে গড়ে উঠে একেকটি স্টল। তাদেরও আছে নানা গল্প। এই কাজের জন্য তারাও অপেক্ষা করেন সারাবছর।
এছাড়া, বইমেলায় স্টল নির্মাণের উপকরণ সরবরাহে এখানে বসে গেছে কয়েকটি দোকানও। হাতের কাছেই সব ধরনের জিনিসপত্র পাওয়া যাচ্ছে একসাথে।
বইমেলায় প্রতিবছর কয়েক হাজার নতুন বই প্রকাশিত হয়। প্রশ্ন উঠে সেগুলোর মান নিয়ে। প্রকাশকরা বলছেন, অনেক প্রকাশনীর মান যাচাইয়ের কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই ঠেকানো যাচ্ছে না এসব লেখা। এবার প্রশ্ন উঠেছে মেলার জায়গা কমা নিয়েও।
এক প্রকাশক বললেন, এবারও মেলায় প্রচুর পাঠক আসবে। কিন্তু ভিড়ের মধ্যে তারা রিলাক্সে একটা বই কতটা উল্টে-পাল্টে দেখতে পারবে এবং প্রশ্ন করতে পারবে, এটা তো চিন্তার বিষয় হয়ে গেছে।
এদিকে, মেলার পরিসর ছোট হওয়ায় ভিড়ের শঙ্কায় সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষকে আহবান জানিয়েছেন প্রকাশকরা।
/এমএন
Leave a reply