বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ৭৭তম জন্মদিন কাটলো কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে। আজ শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) কারাগারে তার সঙ্গে দেখা করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জানান, দুপুর ১২টার দিকে মির্জা ফখরুলের স্বজনেরা কারাগারে যান। সঙ্গে নিয়ে যান মির্জা ফখরুলের পছন্দের খাবার। তারা প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে সময় কাটান।
পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মির্জা ফখরুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন স্ত্রী রাহাত আরা বেগম ও ছোট মেয়ে শাফারু মির্জা সুমি। এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন মির্জা ফখরুলের বোন নাজমা কালামও। ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছেন।
১৯৪৮ সালের ২৬ জানুয়ারি ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জন্ম। ষাটের দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন তিনি। পরে সরকারি কলেজে অর্থনীতির শিক্ষকতা করেছেন। আশির দশকের মাঝামাঝি শিক্ষকতা পেশা থেকে অব্যহতি নিয়ে সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন মির্জা ফখরুল। ১৯৮৮ সালের ঠাকুরগাঁও পৌরসভার নির্বাচনে অংশ নিয়ে পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরশাদবিরোধী আন্দোলন যখন তুঙ্গে, তখন তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন। ২০০১ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারে কৃষি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন মির্জা ফখরুল।
২০১১ সালের মার্চে বিএনপির মহাসচিব খন্দকার দেলওয়ার হোসেনের মৃত্যুর পর মির্জা ফখরুল ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পান। তার আগে তিনি দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। ২০১৬ সালে দলের ৬ষ্ঠ কাউন্সিলে বিএনপির মহাসচিব নির্বাচিত হন তিনি।
আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকার নয়াপল্টনে ডাকা মহাসমাবেশে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। তাতে ওই সমাবেশ পণ্ড হয়। পরদিন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গুলশানের বাসা থেকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।
এর আগে, মির্জা ফখরুলের জন্মদিনে স্বজন ও নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতো বলে জানান শায়রুল কবির। তবে এবার তার জন্মদিন কাটলো কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে।
/এমএন
Leave a reply