কুষ্টিয়ার মঙ্গলবাড়ী এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে বাবা-ছেলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে তারা আত্মহত্যা করেছেন কি-না সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
নিহতরা হলেন, মধুসূদন রায় ও তার ছেলে মুগ্ধ। আট বছর আগে শেফালী নামের এক মুসলিম মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন মধুসূদন। পরে পরিবর্তন করে নিজের নাম রাখেন রেজাউল করিম মধু। তার জুয়েলারি ব্যবসা রয়েছে।
মধুর স্ত্রী শেফালী জানান, দীর্ঘদিন ধরে নিজের জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম পরিবর্তন করার চেষ্টা করেও পারেনি মধু। এছাড়া মুসলিম মেয়ে বিয়ে করার কারণে বিভিন্ন সময় সামাজিকভাবে নানা কটূক্তির শিকার হতে হয়েছে তাকে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার মঙ্গলবাড়ী এলাকায় শ্বশুর বাড়িতে ছিলেন মধু। তার স্ত্রী শেফালী তার বাবার বাড়িতেই ছিলেন। সাত বছর বয়সী ছেলে মুগ্ধকে স্কুলে ভর্তি করাতে শনিবার সকালে শ্বশুর বাড়ি থেকে চলে আসেন মধু। দুপুর গড়িয়ে গেলেও তাকে আর ফোনে পাচ্ছিলেন না স্ত্রী শেফালী। পরে উপায় না পেয়ে তিনি নিজেই ভাড়া বাড়িতে খোঁজ করতে আসেন। এ সময় তিনি দেখতে পান, ঘরের ভেতর থেকে দরজা লাগানো। পরে প্রতিবেশীদের সাহায্যে ঘরের জানালা ভেঙে ভেতরে গিয়ে বাবা-ছেলের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, জানতে পেরেছি তিনি সকালে পৌরসভায় গিয়েছিলেন ছেলের জন্য কাগজপত্র ঠিক করতে। শনিবার স্কুল বন্ধ, তিনি স্কুলে গিয়েছিলেন কিনা জানা নেই। তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। কী কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এনকে/এটিএম
Leave a reply