২০০৮ সাল থেকে পথচলা শুরু মেগা ইভেন্ট আইপিএলের। অন্যান্য দেশের ক্রিকেটারদের মতো সেবার অংশ নিয়েছিলো পাকিস্তানের ক্রিকেটাররাও। তবে রাজনৈতিক বৈরিতার প্রভাবে এরপর থেকে আইপিএলে আর দেখা যায়নি পাক ক্রিকেটারদের। খেলোয়াড়দের ‘এনওসি’ দেয়াও বন্ধ করে দেয় পিসিবি। কিন্তু প্রতিবারই আইপিএল মাঠে গড়ানোর আগে এ নিয়ে দুদেশে আলোচনা-সমালোচনার কমতি থাকে না। এবারও হয়নি ব্যতিক্রম।
এবার মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের সাবেক ওপেনার আমির সোহেল। তিনি মনে করেন, আইপিএল খেলতে না পারায় তেমন কোনো ক্ষতি হচ্ছে না পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের। আর দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট পিএসএলও বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও জনপ্রিয়।
তিনি বলেন, আমার মনে হয় না, আইপিএলে না খেলার কোনো প্রভাব পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের ওপর পড়বে। কারণ, পাকিস্তান সুপার লিগের মান বেশ ভালো। এছাড়া বিগ ব্যাশ, বিপিএলের মতো প্রতিযোগিতায় আমাদের ক্রিকেটাররা খেলে। সেখান থেকে অনেক অভিজ্ঞতাও তারা অর্জন করে। আর তাই শুধুমাত্র আইপিএল খেলে না বলে আমাদের ক্রিকেটাররা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা থেকে পিছিয়ে থাকবে, এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই।
গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠতে না পারা, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশের পর নিউজিল্যান্ডের কাছেও টি-টোয়েন্টি সিরিজে হেরেছে পাকিস্তান। তাই ক্রিকেটারদের ওপর বেশ অসন্তুষ্টও আমির সোহেল। তার মতে, একাদশে বিশ্বমানের একজন ব্যাটার আর স্পিনার এলেই স্বরূপে ফিরবে দল।
আমির সোহেল বলেন, পাকিস্তানকে দুটো জায়গায় বদল করতে হবে। প্রথমত একজন ভালো স্পিনার দরকার। দ্বিতীয়ত ৫ বা ৬ নম্বরে একজন দক্ষ ব্যাটার দরকার। তাহলেই যেই সমস্যাগুলো হচ্ছে, তা মিটে যাবে।
চলতি বছরের জুনেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আমেরিকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগেই বাবরের পরিবর্তে পাকিস্তানের নেতৃত্বের ভার দেয়া হয়েছে শাহিন আফ্রিদির কাঁধে। এই তরুণের ওপর আপাতত ভরসা রাখছেন আমির। প্রত্যাশা, ছোট ফরম্যাটের বিশ্বকাপে ঘুরে দাঁড়াবে পাকিস্তান।
/এএম
Leave a reply