মন্ত্রী-সচিবদের হুঁশিয়ারির প্রভাব নেই চালের খুচরা বাজারে

|

তৌহিদ হোসেন:

মন্ত্রী-সচিবদের হুঁশিয়ারিতেও কমলো না চালের দাম। রাজধানীতে খুচরা পর্যায়ে এখনও বেচাকেনা চলছে আগের দামে। এ অবস্থায় ব্যবসায়ীদের যুক্তি, বস্তায় মাত্র ৫০ বা ১০০ টাকা দর কমালে বড় প্রভাব পড়বে না। নজরদারি বাড়াতে হবে মিলার ও করপোরেট কোম্পানির গুদামে। যদিও আগের মতো অর্ডার নেই দাবি মিল মালিকদের।

এসব দেখে মাথায় হাত কৃষকের। তাদের প্রশ্ন, চালের এত চড়া বাজারে ধানের কেজি কীভাবে মাত্র ২৫ টাকা হয়? এদিকে, মাঝে খাদ্য বিভাগ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের অভিযানে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়। তাতে পাইকারিতে বস্তা প্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা দর কমে সব ধরনের চালের। কিন্তু খুচরা পর্যায়ে এর কোনো প্রভাব নেই।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে চাল বিকোচ্ছে আগের দামে। অর্থাৎ মিনিকেটের কেজি ৬৫-৬৮ টাকা। ন্যুনতম ৫০ টাকা গুনতে হবে বিআর-২৮ ও পাইজামের জন্য। পোলাও চাল আর নাজিরশাইলের বিকিকিনি নেই বললেই চলে।

এমন পরিস্থিতির জন্য ঘুরেফিরে পুরনো যুক্তিই দিচ্ছেন পাইকার ও মিলাররা। দু-পক্ষই পরস্পরকে দাম বাড়ানোর অনুঘটক ভাবছে। কারো অভিযোগের তীর করপোরেট প্রতিষ্ঠান ও লাইসেন্সহীন মজুতদারদের ওপর।

মফিজ উদ্দিন অটো রাইস মিলের মালিক তৌফিকুল ইসলাম বাবু বলেন, ধান কেনার ভিত্তিতে আমরা চাল বিক্রি করি। আগে কম দামে ধান ক্রয় করেছি, তাই কম দামে চাল বিক্রি করেছি। এখন বেশি দামে ধান ক্রয় করছি বলে বেশি দামে চাল বিক্রি করতে হচ্ছে। বর্তমানের ধানের বাজার অনুযায়ী চাল বিক্রি করলে আরও বেশি দামে চাল বিক্রি করতে হবে।

নওগাঁ চালকল মালিক গ্রুপের সভাপতি ফরহাদ হোসেন চকদার বলেছেন, চালের দাম কমে গেছে। মোকাম থেকে চাল কেনার অর্ডারও নেই। আমরা এখন চাল বিক্রি করতে পারছি না।

কৃষকের ভাষ্য, তাদের পণ্ডশ্রম হচ্ছে। বছর ঘুরলেই বাড়ছে ধানের উৎপাদন খরচ। সার, কীটনাশক ও শ্রমিক কোনো ব্যয় নিয়েই স্বস্তি নেই। অথচ ধান বিক্রি হচ্ছে গত বছরের চেয়ে কম দরে।

সবশেষ মৌসুমে ফলন ভালো হওয়ায় এখন পর্যন্ত চাল আমদানির অনুমতি দেয়নি সরকার। গত অর্থবছরে বিদেশ থেকে এসেছিল ১০ লাখ ৫৬ হাজার টন চাল।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply