বিষপানের পর ৩ কন্যাকে বিষ খাওয়ালেন মা, ছোট মেয়ের মৃত্যু

|

স্টাফ করেসপনডেন্ট, গোপালগঞ্জ :


গোপালগঞ্জে বাবার একাধিক বিয়ের বিষয় নিয়ে শাশুড়ির নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে পলি বেগম নামে এক গৃহবধু। শুধু তাই নয়, নিজের হাতে বিষ খাওয়ান তার ৩ কন্যা সন্তানকেও।

অসুস্থ অবস্থায় মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে তাদেরকে গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে বুধবার সকাল ৮টার দিকে দেড় বছরের ছোট মেয়ে মীম মারা যায়।

জানা গেছে, বছর দশেক আগে কাশিয়ানী উপজেলার লংকারচর গ্রামের হাবিবুর রহমান মোল্লার ছেলে টিটু মোল্যার সাথে একই উপজেলার খাগড়াবাড়ি গ্রামের শরিফুল শেখের মেয়ে পলি বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় শাশুড়ি সেকেলা
বেগম তার পুত্রবধূ পলির বাবা শরিফুল শেখের একাধিক বিয়ে করা নিয়ে হেয় প্রতিপন্ন ও মানসিক নির্যাতন করতো। মঙ্গলবার সকালে পলি তার শাশুড়ির উঠানে জ্বালানি (গাছের পাতা) শুকাতে দেয়। এ নিয়ে শাশুড়ি তাকে গালমন্দসহ পলির বাবার একাধিক বিয়ের বিষয় নিয়ে নানা বাজে মন্তব্য করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে দুপুরে জমিতে ব্যবহারের জন্য বাড়িতে থাকা কীটনাশক পান করেন পলি বেগম। পরে চামচে করে একে একে তার মাদ্রাসায় পড়ুয়া ৮ বছরের মেয়ে আফসানা, আড়াই বছরের আমেনা ও দেড় বছরের মীমকে বিষপান করান।

বিষয়টি টের পেয়ে প্রথমে অসুস্থ অবস্থায় তাদের কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

নিহত মীমের বাবা ও পলি বেগমের স্বামী টিটু মোল্যার সাথে যোগাযোগ করা হলেও তিনি এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

জানা গেছে মা পলি বেগম ও বড় মেয়ে আফসানা শঙ্কামুক্ত আছেন তবে খানিকটা ঝুকিতে রয়েছে মেয়ে আমেনা। অপরদিকে, কর্তব্যরত ইনটার্ন চিকিৎসক ডা. কনক শিশু মীমের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে বিস্তারিত কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

কাশিয়ানী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জিল্লুর রহমান জানান, এ বিষয়ে কাশিয়ানী থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি।অভিযোগ পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

/এএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply