হাসারাঙ্গার হাতেও একদিন বিশ্বকাপ উঠবে: চতুরাঙ্গা

|

শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে হারিয়ে যাওয়া এক তারকার নাম চতুরাঙ্গা ডি সিলভা। ২০১৪ সালে বাংলাদেশের মাটিতে অভিষেক হলেও রাঙাতে পারেননি ক্যারিয়ারের গ্রাফ।

তবে ঠিকই আলো ছড়াচ্ছেন তার ছোট ভাই ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। বিশ্বের সব ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে হাসারাঙ্গা যেখানে হট কেক, সেখানে চতুরাঙ্গার বর্তমান ঠিকানা বিপিএলের দল ‘দুর্দান্ত ঢাকা’। এখন পর্যন্ত ২ ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলেও হতাশ করেছেন দলকে। ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায় মনে কষ্ট রয়েছে তার, দুই ভাইয়ের একসঙ্গে জাতীয় দলে খেলতে না পারার।

শ্রীলঙ্কান এই অলরাউন্ডার বলেন, আমাদের স্বপ্ন ছিলো, দুই ভাই একসঙ্গে শ্রীলঙ্কার হয়ে লড়বো। দুর্ভাগ্যবশত তা হয়নি। সেরা ফর্মে না থাকায় আমি জাতীয় দলে নেই। কিন্তু হাসারাঙ্গাকে নিয়ে আমি ভীষণ গর্বিত। সে টি-টোয়েন্টির সেরা বোলার। ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ কিংবা জাতীয় দল, সর্বত্রই সে ডমিনেট করছে।

ফর্মের তুঙ্গে থেকেও ইনজুরির কারণে সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলা হয়নি ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে শীর্ষ উইকেট শিকারি ছিলেন এই লঙ্কান স্পিনার। তার বিশ্বকাপ খেলতে না পারার সেই সময়টা কতটা বিষাদ ছিলো, তা জানালেন ৫ বছরের বড় চতুরাঙ্গা ডি সিলভা।

চতুরাঙ্গা বলেন, প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলার কথা ছিলো হাসারাঙ্গার। কিন্তু ইনজুরিতে সব এলোমেলো হয়ে যায়। সে হতাশায় ভেঙ্গে পড়ে। তবে ইনজুরি থেকে ফিরেই সে বিশ্বরেকর্ড গড়েছে। বুঝিয়েছে, কতটা শক্তিশালী সে।

শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা তারকা অরবিন্দ ডি সিলভা। তারই দুই ভাতিজা চতুরাঙ্গা ও হাসারাঙ্গা। চাচার মতো বিশ্বকাপ জয়ের সৌভাগ্য হয়েছে চতুরাঙ্গা ডি সিলভারও। স্বপ্ন দেখেন, পরিবারের তৃতীয় হিসেবে একদিন ছোট ভাই হাসারাঙ্গার হাতেও উঠবে বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফিটি।

চতুরাঙ্গার ভাষ্য, আমার চাচা অরবিন্দ ডি সিলভা শ্রীলঙ্কার প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক। আমার ক্যারিয়ার খুব একটা সমৃদ্ধ না হলেও শ্রীলঙ্কার টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ের সদস্য ছিলাম। হাসারাঙ্গা যে ভয়হীন ক্রিকেট খেলে, তাতে আমার বিশ্বাস– তার হাতেই একদিন উঠবে বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফি।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply