রহস্যের জালে আবৃত ‘আইআরআই’

|

ছবি: সংগৃহীত

ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স ইন ইরাক, সংক্ষেপে ‘আইআরআই’। গত অক্টোবরে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের অভিযানের পর থেকেই আলোচনায় সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। তবে জর্ডানের মার্কিন গোপন সামরিক ঘাঁটিতে সাম্প্রতিক হামলায় পুরো বিশ্বের নজর এখন এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটির দিকে। গত ২৯ জানুয়ারি বিবিসি জানায়, জর্ডান সীমান্তের কাছে এক মার্কিন ঘাটিতে ড্রোন হামলায় তিনজন মার্কিন সেনা নিহত হয়েছে। ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে আইআরআই।

২০২০ সালে আত্মপ্রকাশ করে এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। মুলত ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন সামরিক আধিপত্য ঠেকানোর উদ্দেশ্যেই গঠিত হয় এই গোষ্ঠীটি। তবে ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স ইন ইরাক বা আইআরআই সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায় না। এর শীর্ষ নেতা হিসেবে আহমেদ আর হামিদ, আকরাম কাবি এবং কাইস খাজালির নামে উঠে আসে। তবে সশস্ত্র গোষ্ঠীটির সদস্য সংখ্যা কত, সে বিষয়েও কোনো তথ্য নেই।

আরআরআই কিভাবে পরিচালিত হয়, সে বিষয়েও তেমন কোনো তথ্য স্পষ্ট নয়। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গোষ্ঠীটির বিভিন্ন সশস্ত্র কার্যক্রমের ভিডিও থাকলেও সেগুলোর বিষয়েও নেই কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা।

যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, ইরানের পক্ষ হয়ে ছায়াযুদ্ধ করতেই তেহরান সৃষ্টি করেছে আইআরআই। যদিও ইসলামিক রেজিস্ট্যান্সের সাথে ইরান সমর্থিত বাকি মিলিশিয়াদের তেমন ঘনিষ্ঠতা নেই। সশস্ত্র এই গোষ্ঠী গাজায় ইসরায়েলের হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে।

এখন পর্যন্ত ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন সেনাদের ওপর অন্তত দেড়শ’টি হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স ইন ইরাক। তবে গেল কয়েকদিনেই অন্তত ২০টি হামলা চালিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply