পাবনা করেসপনডেন্ট:
পাবনার চাটমোহর উপজেলার দিঘুলিয়া গ্রামে মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, চুরি করার সময় দেখে ফেলায় তাদেরকে হত্যা করা হয়। এছাড়া, এ হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, চাটমোহর উপজেলার ধুপুলিয়া গ্রামের মোজাম আলীর ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৬) ও হোসেন আলী (৩৭)। এছাড়া গ্রেফতার হওয়া অপরজন হলেন, রাজবাড়ী জেলার দত্তপাড়ার মোস্তাফা মিজীর ছেলে হুমায়ন মিজী ওরফে হৃদয় (২৮)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি হওয়া ত্রিশ হাজার টাকা, স্বর্ণ ও রুপার গহনা উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী জানান, হত্যাকাণ্ডের দুদিন আগে লাবনী ব্যাংক থেকে স্বামীর পাঠানো টাকা তোলে। গ্রেফতারকৃতরা লাবনীর কাছে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার আছে, এমন ধারণা থেকে তা চুরির পরিকল্পনা করে। পরে পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৫ জানুয়ারি দিবাগত রাত ১টার দিকে তারা লাবনীর ঘরে ঢোকার চেষ্টা করে। এ সময় লাবণী বিষয়টি টের পেয়ে গেলে তাকে ও তার সন্তানকে হত্যা করে তারা। হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য লাবনী খাতুনের মরদেহ বাড়ির গোয়াল ঘরে ও তার শিশু সন্তানের মরদেহ বাড়ির পাশের গাছে ঝুলিয়ে রাখে। পরে তারা স্বর্ণ, রুপার গহনা ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার চাটমোহর উপজেলার দিঘুলিয়া গ্রামের নিজ বাড়ির গোয়ালঘর থেকে লাবনী খাতুন ও পাশ্ববর্তী একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তার ৮ বছরের ছেলে রিয়াদ হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
/আরএইচ
Leave a reply