পঁচিশে যুগান্তর

|

দুই যুগ পেরিয়ে পঁচিশ বছরে পদার্পণ করলো দেশের অন্যতম শীর্ষ সংবাদমাধ্যম দৈনিক যুগান্তর। আজ ১ ফেব্রুয়ারি দৈনিক যুগান্তরের জন্মদিন। ২০০০ সালের আজকের এই দিনে পত্রিকাটির যাত্রা শুরু হয়েছিল।

দুই যুগ অতিক্রম করতে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়েছে যুগান্তর। এ সময় নানা প্রতিবন্ধকতা ও সমালোচনার পাশাপাশি অগণিত পাঠকের ভালোবাসা পেয়েছে।

নব্বইয়ের শেষের দিকে নতুন সংবাদপত্র প্রকাশের উদ্যোগ নেন দেশের অন্যতম প্রধান শিল্পোদ্যোক্তা যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম। অনেক পত্রিকার ভিড়ে আরও একটি নতুন দৈনিক প্রকাশের চিন্তা ছিল সাহসিকতার বিষয়। তবে, একুশ শতকের শুরুতে ভাষার মাসের প্রথম দিনেই পাঠকের কাছে হাজির হয় বাংলা ভাষার পত্রিকা যুগান্তর। প্রকাশের পরই সাড়া ফেলে এ পত্রিকা।

২৫ বছরে পা রাখায় বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) পত্রিকাটির কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য খসরু চৌধুরী, যমুনা গ্রুপের পরিচালক সোনিয়া সারিয়াত ইসলাম, যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফাহিম আহমেদসহ অনেকে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পত্রিকাটির প্রকাশক ও সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম।

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত তার বক্তব্যে বলেন, যুগান্তর যুগ ‍যুগ ধরে এগিয়ে যাক, বেঁচে থাকুক স্বমহিমায়। পত্রিকাটি বাংলাদেশের গণমাধ্যমের নেতৃত্ব দিক, এটিই আমার প্রত্যাশা। পেশাদারিত্বের ক্ষেত্রে আরও বেশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করবে গণমাধ্যমটি। গণমাধ্যমের যে ভূমিকা তা সুচারুভাবে পালন করতে যুগান্তর সক্ষম হবে বলেও জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বলেন, চব্বিশ পেরিয়ে পঁচিশে যুগান্তর। যা আমাদের জন্য অনেক আনন্দের, আজ আমাদের গৌরবের দিন। পাশাপাশি বেদনারও দিন। কারণ, যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও যুগান্তরের স্বপ্নদ্রষ্টা নুরুল ইসলাম দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন। কিন্তু রেখে গেছেন তার অনেক স্মৃতি, অনেক আদর্শ।

যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, সত্যের সন্ধানে নির্ভীক যুগান্তর শুরু থেকেই ন্যায়ের পক্ষে, সত্যের পক্ষে কলম ধরছে। অন্যায়ের বিপক্ষে দাঁড়াতে এক মুহূর্তও পিছপা হয়নি যুগান্তর।

যমুনা টেলিভিশনের সিইও ফাহিম আহমেদ যুগান্তরের সঙ্গে নিজের জড়িয়ে থাকা স্মৃতি স্মরণ করেন। শুভকামনা জানান যুগান্তর পরিবারের প্রতি। আগামীতে সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে পত্রিকাটি পূর্বের সাহসিকতার ধারা অব্যাহত রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

পাঠকপ্রিয়তায় এগিয়ে থাকা যুগান্তর দেশে ও বিদেশে জনপ্রিয় জাতীয় বাংলা দৈনিক। দেশে ও বিশ্বের ১৫৪টি দেশে ছড়িয়ে থাকা প্রায় ৬০ লাখ বাঙালি পাঠক প্রতিদিন যুগান্তর পাঠ করে থাকেন।

/আরএইচ/এমএন

 


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply