তৌহিদ হোসেন:
পোশাক খাতে নতুন সম্ভাবনা দেখাচ্ছে এমব্রয়ডারি শিল্প। সাধারণ বুননের গন্ডি পেরিয়ে, সুঁই-সুতার নিখুত ডিজাইন হচ্ছে যন্ত্রেই। গড়ে উঠেছে মিলিয়ন ডলারের ব্যবসা। বিশ্বে এমব্রয়ডারি শিল্পের যন্ত্র নির্মাণে সবচেয়ে এগিয়ে জাপানের তাজিমা ইন্ডাস্ট্রিজ। বাংলাদেশে এসে সম্ভাবনার নতুন গল্প শোনালেন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী হিদেতোশি কোজিমা।
তিনি বললেন, গ্রাহকরা সবসময় আমাদের কাছে নতুন উদ্ভাবন আশা করেন। যার সুবাধে ডিজাইনের মান বাড়বে, কিন্তু খরচ বাড়বে না। এজন্য আমরা প্রতিনিয়ত গবেষণা করছি। আমাদের লক্ষ্য আরও অটোমেশনে, যে লক্ষ্য শ্রমিক কমাবে।
বাংলাদেশের নাফ গ্রুপের আমন্ত্রণে শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশে আসেন জাপানি প্রতিষ্ঠানটির এ কর্মকর্তা। সাভারে তিনি দীর্ঘসময় ঘুরে দেখেন এমব্রয়ডারি শিল্পের নানা দিক। তুলে ধরেন প্রযুক্তি ও কমপ্লায়েন্সের নানা খুঁটিনাটি। জানান, এমব্রয়ডারির জন্য ৩ হাজার মাল্টিহেড সেট তৈরি করেছে তার প্রতিষ্ঠান।
নাফ গ্রুপের সাথে তাজিমা ইন্ডাস্ট্রিজের অংশীদারিত্ব চার দশকের। ডিজাইনে ভিন্নতা আনতে প্রতিনিয়ত কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। নাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ চৌধুরী বলেছেন, দেশে এমব্রয়ডারি শিল্প এখনও ৫০ শতাংশ পরিপূর্ণতা পেয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ মানের কাজ করি না। আমরা নিম্ন মানের কাজ করি। বাংলাদেশে এমব্রয়ডারির কাজের দরকার আছে প্রচুর।
প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাফিল নেওয়াজ চৌধুরী বলেন, তাজিমা একটা ভারসাম্য করে চলছে। ব্যয়বহুল মেশিন, তবে খুবে বেশি তাও বলা যাবে না। আমরা আধুনিকতা চিন্তা করছি। আগামী কয়েক বছরে আমরা বিশ্বে আধিপত্য করবো।
এদিকে, বিশ্বে এমব্রয়ডারি শিল্পের বাজারের আকার প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার। প্রতি বছর প্রবৃদ্ধি হচ্ছে গড়ে ১০ শতাংশ হারে। অপরদিকে, এ শিল্প আশির দশকে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু হওয়ার পরই পোশাক ও অন্যান্য অনুষঙ্গে জরি-সুতার কাজ বেশ সাড়া ফেলে। যন্ত্রের বুননে অভ্যস্ত হতে থাকে স্থানীয় কর্মীরা। প্রযুক্তির বিবর্তনে এসব যন্ত্র এখন আরও আধুনিক। এখন তো কম্পিউটারে কমান্ড দিলে নিমিষে তৈরি হচ্ছে মনকাড়া নকশা।
/এমএন
Leave a reply