শীত যায় যায় করছে। রাজধানীসহ সারাদেশে পিঠা খাওয়ার আগের সেই ধুম হয়তো নেই। তবে এখনও পিঠার আয়োজন দেখলে কাজ ভুলে মানুষ বসে যায় পিঠা খেতে। ঘুরে আসে পিঠার অন্দরে। কিন্তু বিদেশে যদি হয় এমন উৎসব? তাহলে তো সোনায় সোহাগা! তেমনই এক পিঠা উৎসব হয়েছে কানাডার টরন্টোর বুকে।
গত ২৭ জানুয়ারি (শনিবার) টরন্টোর এজিনকোর্ট কমিউনিটি সেন্টারে ‘এসএসসি ১৯৯৮ ও এইচএসসি ২০০০’ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে হয় এবারের পিঠা উৎসব।
পিঠা উৎসব শুরু হয় স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা থেকে। একে একে সেদিন সবাই আসতে থাকে দেশীয় সাজে। বাংলার চিরাচরিত শাড়ি ও দেশীয় অলঙ্কারে সেজে অনুষ্ঠানে আসে মেয়েরা। ছেলেরা পরে রঙ বেরঙের পাঞ্জাবি। ছোট ছোট বাচ্চাদের পরনে দেখা যায় বাঙালি পোশাক। উৎসব যেন তাতে পূর্ণতা পায়। আরও রঙিন হয়ে ওঠে। সেই রঙ ছড়িয়ে পড়ে পিঠা উৎসবে। শুরু হয় আড্ডা, গান আর ছবি তোলা।
বাংলার শীতের কথা মাথায় রেখেই চেষ্টা করা হয় সবার প্রিয় পিঠা পরিবেশনের। পিঠার ডালি সাজিয়ে সবার হাতে তুলে দেয়া হয় ভাপা, পাটিসাপটা, ভর্তাসহ ঝাল চিতই, তালের বড়া, নারকেল পুলি, ডিমের পিঠা, মুড়ির মোয়া। পিঠা পেয়ে অনেকেই স্মৃতিমেদুর হয়ে যায়, মনে পড়ে দেশে বসে মায়ের হাতে পিঠা খাওয়ার স্মৃতি।
এরপর কামরুন নাহার হীরার উপস্থাপনায় শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন তন্দ্রা, রাইয়ান, জিনিয়া ও সাফায়েত। কৌতুক পরিবেশন করেন পুলক ও মোস্তফা। শাহ আবদুল করিমের গান ‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম’ দিয়ে শেষ হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এরপর উৎসবের স্পন্সরদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়, জানানো হয় কৃতজ্ঞতা। ছোট বাচ্চাদের হাতে তুলে দেয়া হয় গিফট কার্ড।
এবারের পিঠা উৎসবের সব থেকে বড় পাওয়া তৃপ্তির হাসি। যেই হাসি আয়োজকদের উৎসাহিত করবে নিঃসন্দেহে। আগামীতে হয়তো পিঠা নিয়ে আরও বড় কিছু করার সাহস যোগাবে।
/এএম
Leave a reply