দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিং এবং এক্ষেত্রে যেন চাঁদাবাজি না হয় সেজন্য জোরালো ভূমিকা নিতে সচিবদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নেও নির্দেশ দিয়েছেন।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সচিব সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন। দীর্ঘ প্রায় সোয়া বছর পর সব সচিবের সাথে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। যা চলে সাড়ে তিন ঘণ্টার মতো।
বৈঠকে বিভিন্ন খাতে নতুন সরকারের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা হয়। গুরুত্ব পেয়েছে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও আইনশৃঙ্খলাসহ সার্বিকভাবে আওয়ামী লীগের ইশতেহার বাস্তবায়নের বিষয়টি।
পরে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। জানিয়েছেন, সভার শুরুতে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে দায়িত্ব পালন করায় সচিবদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। আত্মসম্মান, প্রত্যয় ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম পরিচালনার কথা বলেন। সুশাসনে শুদ্ধাচার চর্চার পাশাপাশি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সচিবদের কঠোর হতে বলেছেন সরকারপ্রধান। প্রকল্পগ্রহণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়তা ও সরকারি অর্থ খরচে মিতব্যয়ী হওয়ার ওপরও জোর দেন তিনি।
চলমান প্রকল্পগুলো দ্রুত শেষ করে তা যেন টেকসই হয় সেদিকেও নজর দিতে হবে বলে সচিবদের জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সচিবদের আরও বলেছেন, নতুন বিনিয়োগ আকৃষ্ট এবং রফতানির ক্ষেত্র বাড়াতে গার্মেন্টসের পাশাপাশি পাট, কৃষি ও চামড়াজাত পণ্যে বিশেষ নজর দিতে হবে। প্রবৃদ্ধির হারের নিচে মুদ্রাস্ফীতি নামিয়ে আনা এবং করের আওতা বাড়ানোর কথা বলেন।
সভায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও পর্যালোচনা হয়। ছিনতাই, কিশোর গ্যাংসহ সব ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে আরও তৎপর হতে বলেছেন শেখ হাসিনা।
এছাড়া, খাদ্য সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাত ব্যবস্থা আরও আধুনিক করা, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির পাশপাশি সেচ মৌসুমে বিদ্যুৎ নিরবচ্ছিন্ন রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে মানসম্মত কারিগরি শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ওপর-ও জোর দেন।
/এমএন
Leave a reply