রোজার আগে চড়া খেজুরসহ বিদেশি ফলের বাজার

|

দেশে ইফতারের জনপ্রিয় অনুষঙ্গ খেজুর। দিনের শেষে এই বিদেশি ফল দিয়ে রোজা ভাঙতে রোজাদাররা বেশ আবেগী। এছাড়া পুষ্টিগুণের হিসাব তো রয়েছেই। গত কয়েক বছর খেজুর কিনতে তেমন জটিলতা ছিল না। কিন্তু এবার রোজার আগেই চোখ রাঙাচ্ছে দাম। গত বছরের চেয়ে এবার দ্বিগুণ হয়েছে দর।

দাম বৃদ্ধি নিয়ে ব্যবসায়ীদের যুক্তি, সবশেষ বাজেটে বিদেশি ফল আমদানিতে কর বেড়েছে। যার প্রভাব পড়ছে খুচরা পর্যায়ে। অন্যদিকে ক্রেতাদের প্রশ্ন, কিছু কর বাড়লে দাম দ্বিগুণ হয় কীভাবে? কিন্তু সেই প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর নেই।

প্রসঙ্গত, গত বছর অভিযোগ উঠে, খেজুরের নামমাত্র আমদানি মূল্য ঘোষণা করে বাড়তি মুনাফা করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এজন্য গত নভেম্বরে ৫ ক্যাটাগরিতে খেজুরের শুল্কায়ন মূল্য বেধে দেয় রাজস্ব বোর্ড। ফলে ১০০ টাকার পণ্য আমদানিতে আগে ১০ টাকা শুল্ক দিতে হলেও এখন দিতে হয় ২৫ টাকা। সাথে ভ্যাট, অগ্রিম কর আর নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক তো আছেই। ফলাফল, আজোয়া, মরিয়ম, মেডজুল এমনকি কমদামি বরই খেজুর কিনতে গিয়েও দিশেহারা ক্রেতা।

কেবল খেজুর নয়, স্বস্তি নেই অন্যান্য বিদেশি ফলেও। মাল্টা বাদে বিদেশি প্রায় সব ফলের দাম আকাশ ছোঁয়া। ৩শ’ টাকার চীনা কমলা এখন সাড়ে ৩শ’ টাকা। বাড়তি টাকা লাগবে ফুজি কিংবা গালা আপেল কিনতেও।

এর বাইরে অ্যাভোকাডো, ড্রাগন ফল, কিউই, পার্সিমন, আঙ্গুরসহ সব ফলের দামই ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বেড়েছে। বিকল্প হিসেবে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছে দেশি ফলে। সেখানেও স্বস্তি নেই।

সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, গত ৭ মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছে ২ লাখ টনের বেশি বিদেশি ফল। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে কিছুটা বেশি।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply