গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাদরাসা পড়ুয়া দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ওই মাদ্রাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে উঠেছে ধর্ষণের এই অভিযোগ। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে মুকসুদপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া পরিজান বেগম মহিলা কওমি মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. দ্বীপ সাহা ধর্ষণের বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম জানান, মুকসুদপুরের বাঁশবাড়িয়া পরিজান বেগম মহিলা কওমি মাদরাসা থেকে অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে যায় ওই শিক্ষার্থী। এসময় তার শারীরিক অসুস্থতা ও পোশাকে রক্ত দেখে পরিবারের লোকজন মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। এসময় মাদরাসার এক শিক্ষক তাকে নির্যাতন করেছে বলে জানায় ভুক্তভোগী। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়।
ওই শিশুর বাবা বলেন, হুজুরের কাছে দিয়েছিলাম ধর্মীয় শিক্ষা নিতে। সেই হুজুর আমার মেয়েকে ধর্ষণ করলো! তাহলে সন্তানের নিরাপত্তা কোথায়? কোথায় দেবো শিক্ষাগ্রহণ করতে? শিক্ষক বাবার সমান, সেই শিক্ষক কীভাবে এ কাজ করতে পারলো? আমি আমার মেয়ের ধর্ষণের বিচার চাই।
এ ঘটনায় ধর্ষককে শনাক্তের চেষ্টা চলছে। দ্রুত ধর্ষককে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
/এএম
Leave a reply