প্রীতি ম্যাচে মাঠে নামবেন ইন্টার মায়ামির আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি। প্রিয় তারকাকে এক নজর দেখার আশায় মাঠে এসেছিলেন হংকংয়ের ফুটবল ভক্তরা। কিন্তু সবাইকে হতাশ করে সেই ম্যাচে মাঠে নামেননি মেসি। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ ও হতাশা প্রকাশ করেন দেশটির মানুষ।
তবে তিনদিন পর ঠিকই জাপানে প্রীতি ম্যাচ খেলতে নামেন এলএমটেন। আর তাতেই ক্ষোভে ফুসছেন হংকংয়ের ফুটবলপ্রেমীরা।জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মেসিকে গ্রেফতার করার দাবি তুলছেন অনেকে। যদিও ওই ম্যাচ না খেলার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষমাও চেয়েছিলেন মেসি। মূলত হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণেই হংকংয়ে খেলা হয়নি আর্জেন্টাইন তারকার।
হংকংয়ে ৪০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার স্টেডিয়ামে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না সেদিন। মূল ভূখন্ড থেকে ১২ ঘণ্টা ভ্রমণ করে মেসিকে দেখতে গিয়েছিলেন অনেকে। প্রায় ৬৫০ মার্কিন ডলারে টিকেট কেটে খেলা দেখেছেন অনেকে। মেসিকে সেদিন মাঠে না নামানোয় খেলা চলার সময়ই স্লোগান দিতে থাকেন দর্শকরা। ম্যাচের শেষ দিকে ক্ষোভ ঝাড়ে দর্শকরা। ‘রিফান্ড…রিফান্ড বলে চলতে থাকে স্লোগান।’
অথচ জাপানে প্রায় ৬৯ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার স্টেডিয়ামে দর্শক ছিলেন সাড়ে ২৮ হাজার। কিন্তু দিন শেষে তারা সৌভাগ্যবান। কারণ ম্যাচের ৬০তম মিনিটে মাঠে নামেন আর্জেন্টাইন তারকা। গোলশূন্য ড্রয়ের পর ম্যাচটিতে টাইব্রেকারে হেরে যায় মেসির ইন্টার মায়ামি। যদিও পেনাল্টিতে কোনো শট নেননি মেসি।
হংকংয়ে মাঠে না খেলায় প্রচণ্ড ক্ষোভ দেখে ম্যাচের পর চীনের সামাজিকমাধ্যম উইবোতে চীনা ও স্প্যানিশ ভাষায় ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন লিওনেল মেসি।
লিওনেল মেসি বলেন, যারা আমাকে চেনেন, সবাই জানেন যে আমি সবসময়ই খেলতে চাই। বিশেষ করে এই ম্যাচগুলোয়, যেখানে আমরা অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে যাই এবং আমাদের খেলা দেখতে লোকে রোমাঞ্চ নিয়ে অপেক্ষায় থাকে। আশা করি, আমরা কখনও আবার এখানে ফিরে আসব ও হংকংয়ে ম্যাচ খেলতে পারব।
/এনকে
Leave a reply