পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে ভোটের ফলাফলে কারচুপির অভিযোগ তুললো দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।
দলটির মুখপাত্র রউফ হাসান দাবি করেছেন, তাদের ভোট চুরি করা হয়েছে। এমনকি ভোটের ফল বদলে দেয়ার শঙ্কাও করছে দলটি। ফলাফল পাল্টে দেয়ার জন্যই ভোট গণনায় নজিরবিহীন দেরি হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এই পিটিআই নেতার দাবি, সব আসনে তাদের সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বড় ব্যবধানে এগিয়ে ছিল। এ কারণে রাতে ভোট গণনা বন্ধ করে দেয়া হয়। রাতের অনেক ফলাফলই দিনে বদলে গেছে।
দেশটির গণমাধ্যমের বরাতে রয়টার্স বলছে, এখন পর্যন্ত ১০০টিরও আসনে গণনা শেষে এগিয়ে রয়েছে পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। আর বেসরকারি সূত্রে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ বলেছে, এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন ৭৩টি আসনে। যাদের বেশিরভাগই ইমরান খানের অনুসারী। পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) জিতেছে ৪৮টি আসনে। তৃতীয় অবস্থানে থাকা পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে ৩৫টি আসন। এছাড়া, মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট ৩টি, ইস্তেগাম পাকিস্তান পার্টি ২টি, পাকিস্তান মাসহি লিগ ও জমিয়ত উলামা-ই-ইসলাম (এফ) একটি করে আসনে জয় পেয়েছে।
বৃহস্পতিবারের এ নির্বাচনে মোট ২৬৬টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। তবে, জাতীয় পরিষদে মোট আসন ৩৩৬টি। ২৬৬টিতে ভোট হলেও বাকি আসনগুলো নারী ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের জন্য সংরক্ষিত। সংরক্ষিত মিলে সরকার গঠনে দরকার ১৭২টি আসন।
গতকাল বিকেলে ভোটগ্রহণ শেষ হলেও ফলাফল ঘোষণা হচ্ছে খুবই ধীরে। এর জন্য মোবাইল ফোন পরিষেবা বন্ধ করাকে দায়ী করেছে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
/এমএন
Leave a reply