চট্টগ্রামকে ৫৩ রানে হারিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রাখলো রংপুর

|

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএলে) চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৫৩ রানে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে রংপুর রাইডার্স। আগে ব্যাট করতে নেমে রেজা হেন্ড্রিকস ও জেমি নিশামের জোড়া ফিফটিতে ২১১ রানের পাহাড় গড়ে নুরুল ইসলাম সোহানের দল। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সৈকত আলী ফিফটি করলেও সাকিব আল হাসান ও নিশামের বোলিং নৈপুণ্যে ১৫৮ রানের বেশি করতে পারেনি চট্টলার দলটি। এর ফলে টানা ৫ ম্যাচে জয় তুলে নিলো সাকিব-সোহানের দলটি।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন রংপুরের অধিনায়ক সোহান। ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার রনি তালকুদার ও রেজা হেনড্রিকসের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় দলটি। পাওয়ারপ্লের ছয় ওভারে ৫৬ রান তুলে রংপুর। রনির সঙ্গে হেনড্রিকসের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৪১ বলে ৬১ রান। ১৭ বলে ২৪ রান করে পুল করতে গিয়ে নিহাদুজ্জামানের বলে রনি ক্যাচ দেন শাহাদাৎ হোসেন দীপুর হাতে।  

তবে আরেকপ্রান্তে ঠিকই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন বিপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলা রেজা হেনড্রিকস। ৪১ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৮ রান করার পর সালাউদ্দিন শাকিলের বলে ক্যাচ দেন তিনি। তার এক বল আগেই ফেরেন সাকিব আল হাসানও। ৩ চার ও ১ ছক্কার ইনিংসে এই অলরাউন্ডারের ব্যাট থেকে ১৬ বলে আসে ২৭ রান। এই রান করার পথে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে সাত হাজার রানের মাইলফলক ছুয়েছেন সাকিব।  

এক ওভারে দুই উইকেট হারানোর পর রংপুরের রান তোলার গতি কিছুটা কমে যায়। তবে সময়ের সঙ্গে ঠিকই মানিয়ে নেন জিমি নিশাম ও নুরুল হাসান সোহান। ৪৬ বলে ৮৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন তারা। ৫ চার ও ৩ ছক্কার ইনিংসে ২৬ বলে নিশামের ব্যাট থেকে আসে ৫১ রান। ২১ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক সোহান।

২১২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ইনিংসের শুরুটা যেমন হওয়ার দরকার ছিল, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ব্যাটাররা করলো তার পুরো বিপরীত। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে সাকিব আল হাসান অ্যাকশনে আসতেই স্টাম্প ভাঙে জশ ব্রাউনের। পাওয়ার প্লেতে চট্টগ্রাম পায় কেবল ৩৭ রান। নিজের প্রথম ওভারে দুই রান খরচ করে ব্রাউনকে বোল্ড করা সাকিব পরের ওভারে এসে রান দেন কেবল ৩।

ইনিংসের ৮ম ওভারে ইমরান তাহিরকে এনে আবারও এক ব্রেকথ্রু পায় রংপুর। টুর্নামেন্টে নিজের প্রথম ডেলিভারিতেই তাহির শিকার করেন ১৪ রানে থাকা টম ব্রুসের উইকেট। দ্বিতীয় ওভারে উইকেটশূন্য থাকলেও তৃতীয় ওভারে উইকেট শিকার করতে আর ভুল করেননি সাকিব। এবার তার বলে ক্যাচ তুলে সাজঘরে যান শাহাদাত হোসেন দিপু। ১৩ বল খেলা শাহাদাত দিপু এদিন ৯ রানের বেশি করতে পারেননি।

টিকে থাকা চট্টগ্রামের ওপেনার সৈকত আলি এরপর সঙ্গী হিসেবে পান কার্টিস ক্যাম্ফারকে। এই জুটিতে অবশ্য কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে চ্যালেঞ্জার্স শিবিরে। তবে ক্যাম্ফার-সৈকত জুটি যখন পঞ্চাশ পেরিয়ে ৫৮ রানে, তখন রংপুরকে উইকেট এনে দেন জিমি নিশাম। যা বিপিএল ক্যারিয়ারে নিশামের প্রথম উইকেট। ক্যাম্ফারের বিদায়ের আগেই সৈকত আলি পূর্ণ করেছেন পঞ্চাশ। ৪২ বলে আসরের প্রথম ফিফটির দেখা পেলেন সৈকত।

বল হাতেও এদিন সাকিব হয়ে ওঠেন জাদুকর। ৪ ওভারে মাত্র ২৪ রান খরচায় সাকিব শিকার করেন ২ উইকেট। সাকিবের অলরাউন্ড পারফর্ম্যান্সের দিনে সহজ জয়ের সুবাস পেতে শুরু করে রংপুর রাইডার্স। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে চট্টগ্রাম করতে পারে ১৫৮ রান। ৫৩ রানের বড় জয়ে টেবিলের শীর্ষস্থান আরও শক্ত করলো রংপুর রাইডার্স।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply