যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ৩ সপ্তাহের সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল সোয়া ৯টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইট। বিমানবন্দরে সরকারের উচ্চপদস্থ মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের নেতা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা জানাতে রাজধানীর পথে জড়ো হন ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা। মিয়ানমারের নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর সাহসী সিদ্ধান্ত এবং এই সঙ্কটের প্রতি বিশ্ববাসীর মনোযোগ আকর্ষণের জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এই সংবর্ধনা দেয়া হয়।
দেশে ফিরে শাহজালাল বিমান বন্দরে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে যুদ্ধ লাগিয়ে দেয়ার মত উস্কানি ছিলো। তবে বিচক্ষণতার সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দেয়া হয়েছে। দায়িত্বশীল ভূমিকার জন্য সেনাবাহিনী, বিজিবিসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুতে বলেন, যদি প্রয়োজন হয় একবেলা খাবো, আরেক বেলার খাবার ওদের ভাগ করে দেবো। বাংলাদেশ যদি এ অবস্থান না নিত তাহলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এত দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারত না। বিপন্ন মানবতাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ, কূটনৈতিক তৎপরতায় আন্তর্জাতিক চাপে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনার টেবিলে বসেছে মিয়ানমার।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বসভায় তুলে আনা আমার লক্ষ্য ছিল। যা কিছু দেশের জন্য করতে পেরেছি, যা কিছু অর্জন, সবই এদেশের মানুষের দোয়া ও সমর্থনে।
এর আগে শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হন শেখ হাসিনা। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে যোগ দিতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক পৌঁছান তিনি। সাধারণ পরিষদের অধিবেশন যোগদান শেষে গত ২২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটন যান। ২৫ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনের একটি হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রীর গলব্লাডারে অস্ত্রপচার হয়। যুক্তরাষ্ট্রে ১৬ দিনের সফর শেষে শেখ হাসিনা গত সোমবার যুক্তরাজ্য যান। জাতিসংঘের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্জনকে স্মরণীয় করে রাখতে আজ তাকে গণসংবর্ধনা দেবে ১৪ দলীয় জোট। সড়কের দু’পাশে অবস্থান নেয় অনেক নেতা-কর্মী।
Leave a reply