‘স্বামীরা স্ত্রীদের ‘ভালবাসা দিবসে’ কী দেয়’

|

অক্ষয় কুমার ও টুইংকেল খান্না। ছবি: হিন্দুস্তান টাইমস।

৯০’স এর অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী টুইংকেল খান্না। কিং খানের সাথে ‘বাদশা’ কিংবা ববির সাথে ‘বারসাত’ এর মতো হিট সিনেমায় অভিনয় করে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন, সেসময়ে। এরপর বলিউড ‘খিলাড়ি’ অক্ষয় কুমারকে ভালবেসে বিয়ে করে অভিনয় জগত থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন তিনি। তবে, অভিনেত্রী ছাড়াও টুইংকেলের আরেকটি পরিচয় রয়েছে। না! মিসেস খিলাড়ি নয়! ভারতে সর্বাধিক বিক্রিত বই ও জনপ্রিয় নারী লেখকদের মধ্যে একজন।

সম্প্রতি, ‘ভ্যালেন্টাইন্স-ডে’ উপলক্ষে টাইমস অফ ইন্ডিয়া তার একটি নতুন লেখা প্রকাশ করে। কলামটি যেহেতু ভালবাসা দিবস নিয়ে, তাই অনেক হাস্য-রসাত্মক মেজাজে কলামে টুইংকেল লিখেন, স্বামীরা স্ত্রীদের ভালবাসা দিবসে কী দেয়!

বিবাহ পরবর্তী স্বামী-স্ত্রীর ভালবাসা নিয়ে টুইংকেল এমন প্রশ্ন করেন কীভাবে? কারণ, তিনি নিজেই সংসার জীবনে দুই যুগের বেশি সময় পার করে দিয়েছেন। হয়েছেন সন্তানদের মা। বলা যায়, বিবাহ পরবর্তী প্রেম-ভালবাসায় পিএইচডি করে ফেলেছেন মিসেস খিলাড়ি!

ভ্যালেন্টাইনস ডে উদযাপন শুরু হলো কীভাবে? এই প্রসঙ্গে টুইংকেল লিখেছেন, এটা সম্ভব যে ‘ভ্যালেন্টাইন্স-ডে’ অনেকটা গবেষণা কিংবা পরীক্ষামূলক দিবস হিসাবে যাত্রা শুরু করে। মধ্যযুগের কোন এক বোর্ড মিটিংয়ে, ব্যবসায় বিক্রয় কম হওয়ার বিষয়ে একটি আলোচনা হয়েছে। ক্রিসমাসে এমনিতেই গিফট দিয়ে হয় প্রিয়জনকে। পরবর্তী মাসের বেতন পেতে না পেতেই আবার কীভাবে স্বামীদের পকেট খালি করা যায়, সে জন্য হয়তো নির্ধারণ করা হয় ‘ভ্যালেন্টাইন্স-ডে’। এতে ব্যবসা লালে-লাল হয়েছে ব্যবসায়ীদের। তবে, স্বামীদের কপালে হাত! এক মাস যেতে না যেতেই আবার গিফট! তাও আবার একই মানুষকে!

অন্যদিকে, জার্মান-আমেরিকান দার্শনিক হান্না আরেন্ট একবার বলেছিলেন, ‘একটি অভিজ্ঞতার আবির্ভাব ঘটে, যখন সেটি বলা হয়। যদি না বলা হয়, তাহলে সেটি অস্তিত্বহীন।

টুইংকেল আরও লিখেছেন, ‘ভ্যালেন্টাইনস-ডে’ সম্ভবত, প্রেমের ভাবগুলোকে আরও শক্তিশালী, গভীর ও উজ্জীবিত করে তোলে। যদি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বিবাহিত নারীদের জিজ্ঞাসা করেন, ‘আপনার স্বামী ভালোবাসা দিবসে আপনাকে কী দিয়েছেন? তবে সবচেয়ে সৎ উত্তর হবে, ‘মাথাব্যথা’!

তবে, টুইংকেলের এমন সৎ উত্তরে নাখোশ হবে অনেক বিবাহিত নর। হতে পারে, ‘খিলাড়ি’স্বামীকে উচিত শিক্ষা দিতে এমন লিখা। হতেই পারে, বিয়ের পর স্বামী শুধু মাথাব্যথা ছাড়াও স্ত্রীকে অনেক ভালো মুহূর্ত গিফট দিয়েছে। টুইংকেলের কথাই যে সত্যি, এমন কোন কথা নেই।

টুইংকেলের মতে, হতে পারে, প্রেম, প্রকৃতপক্ষে; চিন্তার চূড়ান্ত পরীক্ষা! এটি একটি প্যারাডক্স, যেখানে একে অপরের ত্রুটিগুলো গ্রহণ করে এগিয়ে যেতে হয়।

\এআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply