ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তবে তা অস্বীকার করেছেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক নাদির জুনাইদ। যমুনা নিউজকে জানান, জোরজবরদস্তি বা যৌন নিপিড়ন করলে সেটির তদন্ত চান তিনিও। দাবি করেন, ক্লাসে কড়াকড়ি ও নাম্বার কম দেয়ায় রোষানলে পড়েছেন।
নাদির জুনাইদ বলেন, শিক্ষার্থীদের ভালোর জন্য ক্লাসে কড়াকড়ি ও নাম্বার কম দেয়ায় এই আন্দোলনে নেমেছে কিছু শিক্ষার্থী। তদন্ত ছাড়া এবং অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার আগেই যেসব গণমাধ্যম ছবি ব্যবহার করে খবর ছাপিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান এই অধ্যাপক।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জানিয়েছেন, এ বিষয়ে সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত হবে। তার আগে উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারারের সঙ্গে আলাপ করে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিবেন তিনি। যদিও এই আশ্বাসে নারাজ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ক্লাস বর্জন করে তারা অবস্থান নেয় অপরাজেয় বাংলার সামনে।
এর আগে, গেলো শনিবার এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন বিশ্ববিদ্যায়েরই এক শিক্ষার্থী। এ বিষয়ে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগও দেন তিনি।
লিখিত অভিযোগে ওই শিক্ষার্থীর দাবি, শিক্ষক নাদির জুনাইদ তাকে প্রায়ই অরুচিকর কথাবার্তা বলতেন। রাতে কল করে নানা যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ কথাও বলতেন। শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য প্রস্তাবও দিতেন।
গেলো, বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) অধ্যাপক জুনাইদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কম নম্বর দেয়ার অভিযোগ তুলে উপাচার্যের কাছে লিখিত দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের একটি ব্যাচের ২৮ জন শিক্ষার্থী। অভিযোগপত্রে শিক্ষার্থীরা বলেন, ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পরীক্ষার ফল খারাপ করিয়ে দিয়েছেন এই শিক্ষক।
এটিএম/
Leave a reply