দ্বিতীয় দিনে গড়ালো ভারতের কৃষক আন্দোলন। তবে পুলিশি বাধার মুখে এখনও রাজধানী নয়াদিল্লিতে ঢুকতে পারেনি ক্ষুব্ধ কৃষকরা। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এমনটা জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
প্রবেশ ঠেকাতে রাজধানীর সীমান্তগুলোয় জোরালো করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এরইমধ্যে, কয়েক জায়গায় কৃষকদের সাথে ঘটেছে পুলিশের সংঘর্ষ। হরিয়ানায় ইন্টারনেট সেবা ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
শস্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বা এমএসপি নির্ধারণসহ বেশকিছু দাবিতে চলছে কৃষকদের এই ‘দিল্লি চলো’ আন্দোলন। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা, কিষাণ মজদুর মোর্চাসহ কৃষকদের ২০০টির বেশি সংগঠন এই কর্মসূচির ডাক দিয়েছে।
এর আগে, সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে চণ্ডীগড়ে কৃষকদের সাথে সমঝোতার উদ্দেশ্যে হয় একটি আলোচনা। কিন্তু সেটি ব্যর্থ হওয়ার পরই আসে আন্দোলনের ডাক।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে একইরকম দাবি নিয়ে দিল্লি সীমান্তে ধর্মঘট করেন হাজারো কৃষক। ১৩ মাসের আন্দোলন শেষ হয় সরকারের মধ্যস্থতায়। কিন্তু কৃষক অধিকার আন্দোলনের নেতারা জানান, যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো সরকার, সেগুলোর অর্ধেকও পূরণ হয়নি।
/এএম
Leave a reply