এএফসি এশিয়ান কাপের সেমিফাইনালে জর্ডানের কাছে হারের পর কোচকে বরখাস্তের সুপারিশ করেছিলো দক্ষিণ কোরিয়ার ফুটবল ফেডারেশনের (কেএফএ) জাতীয় ফুটবল দল পরিচালনা কমিটি। সেই সুপারিশের প্রেক্ষিতে নিয়োগের মাত্র ১১ মাসেই বরখাস্ত হলেন জাতীয় দলের জার্মান কোচ ইয়ুর্গেন ক্লিন্সম্যান। এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌঁড়ে শেষ চারের ম্যাচে জর্ডানের কাছে তারা হেরে যায় ২-০ গোলে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ক্লিন্সম্যানকে কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয় কেএফএ। চুক্তিও করা হয়েছিলো ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত। কিন্তু মহাদেশীয় লড়াইয়ের মঞ্চে জাতীয় দলের এমন পারফরম্যান্সের জন্য তার সাথে চুক্তি বাতিল করা হয়।
দেশটির ফুটবল ফেডারেশনের চেয়ারম্যান চুং মং-গিউ ক্লিন্সম্যান সম্পর্কে বলেন, সে দক্ষিণ কোরিয়ার কোচ হিসাবে প্রত্যাশিত মনোভাবসহ খেলা পরিচালনা করতে এবং কোচ হিসেবে তার দক্ষতা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। তার ব্যক্তিত্ব কোরিয়ান নাগরিক ও এদেশের ভক্তদের মান অনুযায়ী ঠিক নেই।
জানা যায়, সেমিফাইনাল ম্যাচের আগে ড্রেসিং রুমে টটেনহ্যাম হটস্পার তারকা ও জাতীয় দলের অধিনায়ক সন হিউং-মিন ও পিএসজি তারকা লি কাং-ইন বিবাদে জড়িয়ে পরেন। তাদের ভেতর হাতাহাতি পর্যন্ত হয়। এমনকি ম্যাচের সময় অধিনায়কের হাতের দু আঙ্গুলে ব্যান্ডেজ দেখা যায়।
দলের অভ্যন্তরীণ নানা সমস্যা এবং মাঠের ফর্ম দু’দিকেই একজন কোচকে খেয়াল রাখতে হয়, যে কাজে ক্লিন্সম্যান ব্যর্থ হয়েছেন বলেও গুঞ্জন ওঠে। এদিকে ক্লিন্সম্যান তার ইন্সটাগ্রাম ও এক্সে (সাবেক টুইটার) সমস্ত ভক্ত, খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফদের ধন্যবাদ জানিয়ে পোস্ট দিয়েছেন। তার অধীনে টানা ১৩ ম্যাচ অপরাজিত ছিল দলটি এটিও উল্লেখ করেন তিনি। কিন্তু পোস্টের শেষ লাইনে তিনি যুক্ত করেন ,’কিপ অন ফাইটিং’ যা নেটিজেনদের মনে ভিন্ন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
উল্লেখ্য, খেলোয়াড় হিসেবে দারুণ ক্যারিয়ারের ক্লিন্সম্যান জিতেছেন ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপ ও ১৯৯৬ সালের উয়েফা ইউরো। জার্মানির হয়ে ১০৮ ম্যাচে গোল করেছেন ৪৭টি। কিন্তু কোচ হিসেবে খুব একটা সাফল্যের দেখা তিনি পাননি। কোচিং ক্যারিয়ারের বড় সফলতা ২০১৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে কনকাকাফ গোল্ডকাপ জিতিয়েছিলেন তিনি। জার্মানির জাতীয় দলের কোচ হিসেবে ২০০৬ বিশ্বকাপে দলকে সেমিফাইনালে তোলেন ক্লিন্সম্যান।
/এমএইচআর
Leave a reply