ভারতের কৃষক আন্দোলনে প্রবীণদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো

|

ভারতের কৃষক আন্দোলনে পৃথকভাবে আলোচনায় প্রবীণদের উপস্থিতি। জীবনের ঝুঁকি উপেক্ষা করেই নেমেছেন অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে। বয়সের ভারে পড়ছেন নানা ঝামেলায়। তবুও থামতে নারাজ বয়স্ক মানুষগুলো। তাদের ভাষ্য, শতবছরের ঐতিহ্য কৃষিকাজকে বাঁচাতে আর সন্তানের আয়ের পথকে সহজ করতেই প্রশাসনের বিরুদ্ধে এ প্রতিবাদ।

চলমান কৃষক আন্দোলনে যোগ দিতে দূর-দুরান্ত থেকে এসে ঘাঁটি বেঁধেছেন পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্তে। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা আর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই তাবুর নিচে করছেন বাস। সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে শেষ পর্যন্ত করবেন লড়াই- স্পষ্ট বার্তা তাদের।

৬৪ বছর বয়সী কৃষক মাজর সিং বলেন, এই বয়সে বাড়ির বাইরে থাকা ভীষণ কষ্টেরই। গেলো কয়েকদিন ধরেই বাইরে থাকছি। গোসল করা, প্রার্থণা করা সবকিছুরই সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু এসব যদি কাটিয়ে উঠতে না পারি, তাহলে আমরা সফল হবো কীভাবে?

৬৫ বছর বয়সী আরেক কৃষক বলদেব সিং বলেন, আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে। ওদের জন্য এসেছি। ন্যায্যভাবে যা প্রাপ্য তা বুঝে নিতে এসেছি।

ক্যাম্পে নেই স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট। তাই পড়তে হচ্ছে বিপাকে। নেই পর্যাপ্ত পানিও। এ পরিস্থিতিতে রোগ বালাই ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে। তবুও নিজেদের অবস্থানে অনড় প্রবীণ এ ভারতীয়রা।

৭০ বছর বয়সী বলবিন্দর কর বলেন, গেল ৪ দিন ধরে একই জামা পরে আছি। গোসল করা, কাপড় ধোওয়ার মতো পর্যাপ্ত পানি এখানে নেই। টয়লেট ব্যবহারেও অসুবিধা হচ্ছে। হাঁটু ভীষণ ব্যথা। ওঠা-বসা করা আমার জন্য খুব শক্ত কাজ। তবু সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে এসেছি।

ফসলের নূন্যতম সহায়ক মূল্য বা এমএসপির আইনি গ্যারান্টিসহ বিভিন্ন দাবিতে গেল এক সপ্তাহ ধরে চলছে ভারতের কৃষকদের এই আন্দোলন। এর আগে, মোদি সরকারের তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে ২০২০ সালে সিঙ্ঘু, গাজিপুর এবং টিকরি সীমানায় এক বছরেরও বেশি সময় আন্দোলন করেছিল কৃষকেরা।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply