সীমান্তে হত্যা বন্ধের দাবিতে কাঁধে প্রতীকী মরদেহ ও হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে মিছিল

|

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:

সীমান্তে হত্যা ও আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে ‘হানিফ বাংলাদেশি’র নেতৃত্বে প্রতিকী মরদেহ কাঁধে নিয়ে ‘লাশের মিছিল’ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা অতিক্রম করেছে। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সীমান্তবর্তী আখাউড়া উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে তারা প্রতীকী মরদেহের মিছিল শুরু করেন। পরে মিছিলটি পৌর শহরের সড়কবাজার ও রেলওয়ে জংশন স্টেশন প্রদক্ষিণ শেষে শহরের মুক্তমঞ্ছে সংক্ষিপ্ত মানববন্ধন করেন।

গত শুক্রবার কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার অলিয়াবাদ জিরো পয়েন্ট থেকে তারা এ কর্মসূচি শুরু করেন। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত ও মিয়ানমার সীমান্ত আছে— এমন সীমান্তবর্তী ৩২টি জেলার ৭২টি উপজেলায় প্রতীকী মরদেহ কাঁধে নিয়ে মিছিল কর্মসূচি পালন করবেন হানিফ বাংলাদেশির নেতৃত্বে ‘ওরা পাঁচ যুবক’।

কর্মসূচি শুরুর দিনে তারা কক্সবাজারের মিয়ানমার সীমান্তবর্তী টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলায় মিছিল করেন। পরে দলটি চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা ঘুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় আসেন।

তারা জানান, কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রত্যেকে প্রতীকী লাশ কাঁধে নিয়ে মিছিলের পাশাপাশি সীমান্ত এলাকার মানুষকে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে অবহিত করবেন।

হানিফ বাংলাদেশি বলেন, ভারত ও মিয়ানমার বাংলাদেশের প্রতিবেশী দুটি দেশ। দুই দেশের সীমান্তেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের মধ্যেই এক বাংলাদেশিসহ দুজন সম্প্রতি মারা গেছেন। এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধের দাবিতেই তাদের কর্মসূচি পালন করছেন। 

উল্লেখ্য, মো. হানিফ ওরফে হানিফ বাংলাদেশি নোয়াখালীর সুধারাম উপজেলার নিয়াজপুর ইউনিয়নের জাহানাবাদ গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে। তার সঙ্গে থাকা অপর চারজন হলেন ঝালকাঠি জেলার রাজাপুরের মোহাম্মদ সৌরভ, চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর নুরুল আজিম, রংপুরের পীরগাছার আবু নাসিম নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের মো. আরিফ।

/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply