জাহীদ ইকবালের ‘চাঁদের হাটের ভাঙাপুল ও তেজপাতার বিছানা’

|

অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে কবি জাহীদ ইকবালের প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘চাঁদের হাটের ভাঙাপুল ও তেজপাতার বিছানা’। প্রায় বিশ বছর ধরে লালন করা ৮টি গল্পের সমাহার রয়েছে বইটিতে।

বইটির মুখবন্ধ লিখেছেন লেখক শফিক হাসান। তিনি বইয়ের ফ্ল্যাপে লেখেন– কবি যখন গল্প লেখেন, নতুন ব্যঞ্জনায় রঞ্জিত হয় গল্পভূগোল। খলবলিয়ে ওঠে বিস্তৃত পরিসর। জাহীদ ইকবাল নিজ পরিচয় দাঁড় করিয়েছেন শক্ত ভিতের আঙিনায়। বেশ্যাবাড়িকে ‘আনন্দবাড়ি’ নামকরণে একদিকে যেমন জীবন-জিজ্ঞাসার জবাব দিয়েছেন, অন্যদিকে মূর্ত করেছেন নর-নারীর রহস্যময় সম্পর্ক, প্রেম-কামের মতো অবগুণ্ঠিত বিষয়। প্রান্তিক মানুষের জীবন কেমন, তাদের খিস্তি-ভাষা কেমন; মুনশিয়ানার সঙ্গে সেসব তুলে ধরেছেন লেখক।

বইটি প্রসঙ্গে লেখক জাহীদ ইকবাল বলেন, আমার সেরা দুটি বই বললে তার মধ্যে একটি ‘চাঁদের হাটের ভাঙাপুল ও তেজপাতার বিছানা’। কুড়ি বছর ধরে লালন করে, পরিচর্যা করে গল্পগুলো লেখা। আমি এতোদিন মূলত কবিতা ও উপন্যাস লিখেছি। এটাই আমার প্রথম গল্পগ্রন্থ। গল্পের পাঠক বইটি কিনে ঠকবেন না, এটুকু বলতে পারি। পাঠকের কাছ থেকে সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান তিনি।

তিন দশকের লেখালেখি জীবন জাহীদ ইকবালের। পেশাগত জীবনেও অভিজ্ঞতার পরিধি বহুমাত্রিক। বোহেমিয়ান জীবন তার লেখকসত্তা নির্মিতিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। তার ভাবনায় প্রায়শ খেলা করে বহুমাত্রিক সৃজনভূগোল। খুলনার খালিশপুরে বসে জাহীদ ইকবাল ধারণ করেন স্বদেশ-সমাজ-সমকাল। মানব সম্প্রদায়ের ভূত-ভবিষ্যৎ নিয়ে তাড়িত হন। উপলব্ধিকৃত সমস্যা-সংকট ফুটিয়ে তোলেন শিল্পের ক্যানভাসে।

৮০ পৃষ্ঠার বইটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন নির্ঝর নৈঃশব্দ্য। বইটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬০ টাকা। পাওয়া যাবে মেলায়, পুণ্ড্র প্রকাশনের ১৪১ নম্বর স্টলে।

এর আগে প্রকাশিত হয় জাহীদ ইকবালের উপন্যাস– প্রেমজুয়াড়ী ( ২০০৬), বেদনায় নীলবৃষ্টি( ২০০৪), নভেলপুরুষ (২০০৫), আমাদের ফ্ল্যাটে পরীরা ছিলো (২০১২), পরানের গহীনে যে মুখ (২০১৩) ও বাইশ খান্দান (২০২০)। তার লেখা কবিতার বই– নক্ষত্রের সাঁকোয় হেঁটে হেঁটে (২০০৬) দুধঘুম ঘুমের নামতা (২০০৯) ও নোনাজল ঘোলাজল (২০১২)।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply